নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: এবার দেশের খামারে উৎপাদিত গবাদি পশু দিয়েই কোরবানির প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে গবাদি পশুর উৎপাদন বাড়ায় কোরবানিতে চাহিদার সবটুকু পূরণ হবে দেশী গরু-ছাগল দিয়ে। এ কারণে গরু-ছাগল আমদানি পুরোপুরি নিরুৎসাহিত করে কোরবানির আগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
পৃথিবীর শীর্ষ মাংস উৎপাদনকারী দেশ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার গরু রফতানির প্রস্তাবও এ কারণে নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত থেকেও কয়েক বছর যাবত গরু আমদানি করা হচ্ছে না। উৎপাদন বৃদ্ধি ও দেশের খামার বিকশিত করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ভাল দাম পাওয়া, খামার মালিকদের প্রণোদনা প্রদান এবং সরকারি নীতিগত সহায়তা অব্যাহত থাকায় গবাদি পশুতে বর্তমানে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। কোরবানিতে ৪৫-৫০ লাখ গরু এবং ৭০-৭৫ লাখ ছাগল ও ভেড়ার চাহিদা রয়েছে। চাহিদার প্রায় সোয়া কোটি পশুর পুরোটাই অভ্যন্তরীণ উৎপাদন থেকে মেটানো হবে। দেড় মাস বাকি থাকতেই এবার কোরবানির গরু-ছাগল ও ভেড়া বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছেন খামার মালিকরা। এবার কোরবানিতে গবাদি পশু সঙ্কটের কোনো আশঙ্কা নেই বলে দাবি করেছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
সূত্রমতে, করোনা পরিস্থিতির কারণে অর্থনীতির অন্যান্য খাত যখন চাপের মুখে ঠিক তার বিপরীত অবস্থা বিরাজ করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে। প্রতিবছর এ খাতে যুক্ত হচ্ছেন নতুন নতুন উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারী। প্রতিনিয়ত বাড়ছে গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়ার খামারের সংখ্যা। চাকরির পেছনে না ঘুরে এখন শিক্ষিত বেকাররা খামার করে পশু লালন-পালনে এগিয়ে আসছেন। এ কারণেই গবাদি পশু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন সম্ভব হয়েছে। শুধু কোরবানি নয়, সারা বছরের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে মাংস রফতানি করারও উদ্যোগ নিচ্ছেন এ খাতের বিনিয়োগকারীরা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ থেকে হালাল মাংস আমদানির আগ্রহ দেখিয়েছে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ।
- ইসরায়েলে নেতানিয়াহু যুগের অবসান || নতুন প্রধানমন্ত্রী বেনেট
- ‘আনসাং ওমেন ন্যাশন বিল্ডার্স অ্যাওয়ার্ডস’ পেলেন ৬ নারী