ক্রীড়া প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: ২০১৭ সালে জুনিয়র ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ জিতলেও টোকিও অলিম্পিকে খেলার নিশ্চয়তা ছিল না বাথ শ্রিয়েভারের। যুক্তরাজ্যের হাই পারফরম্যান্স স্পোর্টস এজেন্সি ইউকে স্পোর্ট জানিয়ে দেয়, তারা কেবল সিনিয়র পর্যায়ের সাফল্যের ভিত্তিতে পুরুষ সাইক্লিস্টদের অর্থায়ন করবে, মেয়েদের নয়।
মন খারাপ হলেও তখনকার ১৮ বছর বয়সী শ্রিয়েভার দমে যাননি। টোকিও অলিম্পিকে অংশ নিতে সবমিলিয়ে ৫০ হাজার পাউন্ড খরচ ধরে ‘ক্রাউডফান্ডিং’ বা গণ-অর্থায়নে নামেন তিনি। যে কোনো সামাজিক বা মানবিক কাজের অর্থ জোগাতে যুক্তরাজ্যে এমন গণ-অর্থায়নের ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। মানুষের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের পাশাপাশি টিচার্স অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে খণ্ডখালীন চাকরিও নেন শ্রিয়েভার। ২০২১ সালের ৩০ জুলাই সেই শ্রিয়েভার সাইক্লিং বিএমএক্স রেসিংয়ে জিতলেন স্বর্ণ।
টোকিওর অ্যারিয়ান আরবান স্পোর্টস পার্কে ৪৪.৩৫৮ মিনিট সময়ে রেস শেষ করে আনন্দে কেঁদে ফেলেন ২২ বছর বয়সী শ্রিয়েভার, ‘আমার জন্য এখানে আসাটাই একটা বড় অর্জন। ফাইনালে ওঠা আরেকটা অর্জন। আর স্বর্ণ জেতা- এটা আমার লক্ষ্যই ছিল না। রেজাল্ট আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আমার কাজ ছিল নিজের মাথা ঠান্ডা রেখে ট্র্যাকে এগিয়ে চলা। এখন পুরো ব্যাপারটাই আমার কাছে পাগলাটে লাগছে।’