জাতীয়প্রচ্ছদসর্বশেষ

গণপরিবহন বন্ধ, ভোগান্তিতে মানুষ

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ডাকা ‘ধর্মঘট’ শুরু হয়েছে। পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়। সকাল ছয়টার দিকে ঢাকার বিভিন্ন সড়কে দেখা যায়, ধর্মঘট শুরু হলেও কিছু বাস-ট্রাক শেষ গন্তব্যে পৌঁছানোর দৌড়ে ব্যস্ত। তবে রাতের ব্যস্ততার তুলনায় অনেকটাই ফাঁকা হয়ে এসেছে সড়ক। ছোট ছোট যান বিশেষ করে সিএনজি ও রিকশা চলতে দেখা গেছে।  
সকাল থেকে বেশিরভাগ জেলায় বন্ধ রয়েছে বাস ও পণ্যবাহী যান। এতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। জ্বালানি তেলের বর্ধিত দাম না কমানো পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানো হলে এমন সিদ্ধান্ত নেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।
এদিকে সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়, গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে মানুষ। কিন্তু ধর্মঘটের কারণে রাস্তায় গণপরিবহনের খুব একটা উপস্থিতি দেখা যায়নি। এর ফলে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অনেকে সিএনজি ও রিকশায় করে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন। তবে এ জন্য তাদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
ট্রাক ও পণ্যবাহী পরিবহনের মালিকরা ধর্মঘটের ডাক দিলেও বৃহস্পতিবার সারাদিন বাস ধর্মঘটের বিষয়টি ধোয়াঁশায় ছিল। তবে রাতে এ বিষয়টি পরিষ্কার করে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। সংগঠনটি জানায়, পণ্যবাহী যানের পাশাপাশি শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে বাস চালাবেন না মালিকরা।  তবে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মঘটের ডাক দেয়নি
এর আগে বুধবার (৩ নভেম্বর) জ্বালানি তেলের দাম প্রতি লিটার ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। সরকারের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বুধবার রাত ১২টা থেকেই বর্ধিত এই দাম কার্যকর হবে।
জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে ১৫ টাকা বেড়ে যাওয়ার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) ধর্মঘটের ডাক দেয় বিভিন্ন জেলার পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সংগঠন। তারা জানায়, আজ শুক্রবার (৫ নভেম্বর) বাস ও পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ রাখবে তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *