নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: সারাদেশে গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের।
গণপরিবহনের ভাড়া নিয়ে দেশব্যাপী চলমান অসন্তোষের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। তাই তেলের দাম কমাতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে সরকারকে। পাশাপাশি গণপরিবহণের ভাড়া নিয়ে সড়কের নৈরাজ্য কমাতে হবে। এছাড়া ছাত্রদের জন্য হাফ ভাড়া নিশ্চিত করতে হবে।’
সম্প্রতি রাজধানীর একটি বাসে এক কলেজ শিক্ষার্থী অর্ধেক ভাড়া দিতে চাইলে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ওই বাসটির হেলপার তাকে ‘ধর্ষণের হুমকি দেন’ বলে অভিযোগ আসে। এ নিয়ে কলেজ শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করে, যা দেশজুড়ে আলোড়ন তুলে।
এছাড়াও দেশের নানা এলাকায় ভাড়া নিয়ে পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে যাত্রীদের দ্বন্দ্বের খবর আসছে।
জি এম কাদের এসব ইস্যুতে বলেন, ‘সড়কে পরিবহন শ্রমিকরা যাত্রীদের সাথে যে আচরণ করছে তা মেনে নেওয়া যায় না। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ার অজুহাতে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বাস ভাড়া যতটুকু বাড়িয়েছে শ্রমিকরা যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করছে তার চেয়েও বেশি। এতে প্রতিদিন বাসে চড়ে গন্তব্যে যেতে হেনস্তা হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা, প্রতিবাদ করলে সইতে হয় অবর্ননীয় নির্যাতন। আবার ছাত্রদের কাছ থেকে হাফ ভাড়ার পরিবর্তে আদায় করা হচ্ছে পুরো ভাড়াই, ছাত্রী ও নারীদের সাথে অশালীন আচরণ করছে শ্রমিকরা।’
গত ৩ নভেম্বর রাত থেকে ডিজেলে ও কোরোসিনের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। ডিজেলের দাম কমাতে ট্রাক, লরি, কাভার্ডভ্যান মালিক, শ্রমিকরা সারাদেশে পরিবহন ধর্মঘট ডাকে। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন বাস মালিক, শ্রমিকরা।
তেলের দাম বাড়ানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করে জি এম কাদের বলেন, ‘সরকারের তেলের দাম কমানোর কোন চিন্তা আছে বলে মনে হয় না। আবার তেলের দাম বাড়ার সাথে সাথে পরিবহন ব্যয় বাড়ার অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে আকাশচুম্বী হয়ে যাচ্ছে। একারণে সাধারণ মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে।’
আরো পড়ুন:
সরকার একশ টাকা বরাদ্দ দিলে গ্রামে পোঁছায় ১০ টাকা: পরিকল্পনামন্ত্রী