সাকিব আল হাসান মানেই যেন বিতর্ক। এবারের বিপিএল শুরুর আগে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন। বিপিএলের মাঝপথে বিসিবির সভাপতি হতে চেয়ে নতুন বিতর্কের খোরাক জমিয়েছিলেন।
বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আম্পায়ারদের দিকে তেড়ে গিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন। এবার খেলা থামিয়ে মাঠে প্রবেশ করে নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন সাকিব।
মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন টসে জিতে রংপুর রাইডার্সকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। রংপুর আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৮ রান তোলে।
লক্ষ্য তাড়া করতে বরিশালের ব্যাটসম্যানরা মাঠে নামলেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এই সময় বরিশালের দুই ওপেনারের মধ্যে চতুরঙ্গ স্ট্রাইকে এবং আনামুল বিজয় ছিলেন নন স্ট্রাইকে।
তখন শেখ মেহেদীকে বোলিংয়ে আসতে দেখে সাকিব মাঠের দুই ব্যাটসম্যানকে প্রান্ত বদল করতে ইশারা দেন ডাগ-আউট থেকে। তারা প্রান্ত বদল করতে চাইলে আম্পায়ার তাতে রাজি হননি।
বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি সাকিব। নিয়ম অনুযায়ী বোলার ঠিক হওয়ার পর ব্যাটসম্যানরা নির্ধারিত করেন কে নেবেন স্ট্রাইক। আম্পায়ারদের সেই নিয়মটাই হয়ত মনে করিয়ে দিতে মাঠে প্রবেশ করেন সাকিব।
এই সময় রংপুরের ক্রিকেটারদের এক আম্পায়ার এবং সাকিবকে আরেকজন বুঝাতে থাকেন। সাকিব বারবার নিয়মের বিষয় হয়ত জানাচ্ছিলেন আম্পায়ারদের।
পরবর্তীতে সাকিবকে বুঝিয়ে উপরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রংপুরও শেখ মেহেদীকে বল না দিয়ে রাকিবুল হাসানকে বল তুলে দেয়। বরিশালের চতুরঙ্গ নেন স্ট্রাইক।
এই বিষয়ে ফরচুন বরিশালের ম্যানেজার সাজ্জাদ হোসেন শিপন বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী কোন বোলার বল করবেন সেটি ঠিক হওয়ার পর ব্যাটসম্যানরা কে স্ট্রাইক নেবেন তা ঠিক করেন। এক্ষেত্রে শেখ মেহেদীকে বল করতে আসতে দেখে চতুরঙ্গ ডি সিলভার বদলে আনামুল হক বিজয়কে স্ট্রাইকে চাচ্ছিলেন সাকিব। কিন্তু আম্পায়ার সেটার অনুমতি দিতে রাজি হচ্ছিলেন না, এই নিয়ে কথা বলতে মাঠে প্রবেশ করেন তিনি।’