নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ মঙ্গলবার খুলনায় করোনা মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর টহল কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন। তিনি প্রথমে খুলনা স্টেডিয়ামে সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের পক্ষ থেকে স্থানীয় দুস্থ ও অসহায় মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন। পরে তিনি টহল কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং কর্তব্যরত সেনাসদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ ছাড়া তিনি স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
সেনাপ্রধান খুলনা জেলায় চলমান ‘অপারেশন কভিডশিল্ড’-এর দ্বিতীয় পর্বে সেনাবাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর ভূমিকা ও কার্যক্রম দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট সংকটময় পরিস্থিতিতে সবাইকে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ যথাযথভাবে পালনের আহ্বান জানান। সেনাবাহিনী যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের দিকনির্দেশনায় বেসামরিক প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
পরিদর্শনকালে সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল নুরুল আনোয়ার, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন, খুলনা জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার, খুলনা মহানগর পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমানসহ স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। খুলনা শহর পরিদর্শন শেষে সেনাপ্রধান যশোর সেনানিবাসে যান। সেখানে তিনি দরবারে বক্তব্য দেন এবং সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
করোনার সংক্রমণ আবারও বেড়ে যাওয়ায় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ জুলাই থেকে বেসামরিক প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তার উদ্দেশ্যে দেশব্যাপী সেনা মোতায়েন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের সেনাসদস্যরা খুলনা ও ঢাকা বিভাগের ১১টি জেলায় জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে নিয়মিত টহল পরিচালনা করছেন। পাশাপাশি সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ যথাযথভাবে প্রয়োগ নিশ্চিতকল্পে বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে বিবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
এ ছাড়াও যশোর সেনানিবাসের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার জেলাগুলোয় নিয়মিত মেডিকেল ক্যাম্প ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ পর্যন্ত ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের পক্ষ থেকে তিন হাজার পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী এবং পাঁচটি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে এক হাজার ৩৪৩ জনকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে।