প্রচ্ছদ

খাসোগি হত্যাকাণ্ডে দোষীদের আটক করতে বাইডেনের প্রতি অনুরোধ

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: সৌদি রাজতন্ত্রের কট্টর সমালোচক সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যায় দোষীদের আটকের জন্য ব্যবস্থা নিতে তার বাগদত্তা তুর্কি লেখক হাতিস সেনগিজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আকুতি জানিয়ে তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে দুই বছর আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাইডেন যেন পূরণ করেন। খাসোগি হত্যার তিন বছরপূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে তার একটি ভাস্কর্য উন্মোচনের পর এ আহ্বান জানান সেনগিজ। খবর এএফপি ও বিবিসির।

২০১৮ সালের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে গুপ্ত হত্যার শিকার হন জামাল খাসোগি। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) নির্দেশে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছেন খাসোগির বাগদত্তা হাতিস সেনগিজ। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ও সংস্থা সেনগিজকে সমর্থন করে সোচ্চার রয়েছে। তবে সৌদি যুবরাজকে অভিযোগের বিষয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিচারের মুখোমুখি করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি কেউ।

শুক্রবার খাসোগির হত্যায় দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবিতে হাতিস সেনগিজ ওয়াশিংটনে সৌদি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেন। এরপর ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল মলে খাসোগির লেখা বিভিন্ন কলাম দিয়ে বানানো একটি ভাস্কর্য উন্মোচন করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের প্রতিবেদনে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সৌদি যুবরাজের নির্দেশেই খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। সম্প্রতি বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছেন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে হাতিস সেনগিজ বলেন, এটি কেমন জবাবদিহিতা? এমবিএস আমার কাছ থেকে এবং পৃথিবী থেকে জামাল খাসোগিকে নিয়ে গেছেন। হয় আপনি দায়ী এ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেন, না হয় এ হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করুন।

যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছায় নির্বাসিত খাসোগি দি ওয়াশিংটন পোস্টে এমবিএস ও সৌদি রাজতন্ত্রের সমালোচনা করে বেশকিছু নিবন্ধ লিখেছিলেন। এ নিয়ে তার ওপর ক্ষোভ ছিল সৌদি রাজপরিবারের।

তুর্কি নাগরিক সেনগিজকে বিয়ে করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেন জামাল খাসোগি। যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের গোয়েন্দাদের তথ্যমতে, সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করা সৌদি ‘হিট স্কোয়াড’ তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং তার লাশ টুকরো টুকরো করে ফেলে। ওই দিনের পর থেকেই তার আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলের চাপ থাকলেও সৌদি রাজতন্ত্রকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশ্নের মুখোমুখি করতে পারেনি কেউ।

আরো পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার আগে ১০ বিলিয়ন ডলার ফেরত চায় ইরান

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *