মানুষের দুর্বল সামাজিক আচরণ শনাক্ত এবং সচেতনতা তৈরি করতে পরীক্ষামূলকভাবে জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় রোবটের টহল শুরু করেছে সিঙ্গাপুর। বিশ্বের অন্যতম নজরদারি সরঞ্জামের ব্যবহারকারী দেশটিতে রোবটের মাধ্যমে মানুষের আচরণ শোধরানোর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে সোমবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
বিশ্বে নিরাপদ দেশের তালিকায় ওপরের দিকে থাকা সিঙ্গাপুর করোনাভাইরাসের সুরক্ষাবিধির লঙ্ঘন, নিষিদ্ধ এলাকায় ধূমপান এবং ভুলভাবে বাইসাইকেল পার্কিংয়ের মতো খারাপ আচরণ শনাক্ত করতে প্রাথমিকভাবে দু’টি রোবটের টহল চালু করেছে। দেশটির হোম টিম সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজি এজেন্সি এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, জাভিয়ার নামের ওই দু’টি টহল রোবটে বসানো হয়েছে ক্যামেরা; যা খারাপ সামাজিক আচরণ শনাক্ত করবে এবং সেই অনুযায়ী কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে রিয়েল টাইম সংকেত পাঠিয়ে দেবে।
সিঙ্গাপুরের মধ্যাঞ্চলে পদচারী বেশি রয়েছে, এমন একটি এলাকায় রোবট জাভিয়ারের পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। সংস্থাটি বলেছে, তিন সপ্তাহের পরীক্ষামূলক টহলের সময় রোবট দু’টি নজরদারি চালানোর জন্য ব্যবহৃত হবে। এ সময় তারা মানুষকে সচেতন করতে ভুল এবং দুর্বল সামাজিক আচরণ শনাক্ত করার পর সঠিক তথ্য প্রদর্শন করবে।
সংস্থাটির একজন মুখপাত্র বলেছেন, পরীক্ষামূলক টহলের সময় রোবট দু’টিকে আইন প্রয়োগের জন্য ব্যবহার করা হবে না। রোবট জাভিয়ার মোতায়েন সরকারি কর্মকর্তাদের সহায়তা করবে। পাশাপাশি পায়ে হেঁটে টহল দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল হ্রাস এবং অভিযানের দক্ষতার উন্নতি ঘটাবে।
গত আগস্টে সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে শ্যানমুগাম বলেছিলেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এই নগর-রাষ্ট্রের ২ লাখের বেশি পুলিশি ক্যামেরার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। যা দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রের বর্তমান মোতায়েনকৃত ক্যামেরার সংখ্যার তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। সূত্র: রয়টার্স।
/জেড এইচ