১ বৈশাখে বাড়িতে রান্না করতে অনেকেরই ভাল লাগে না। তাঁদের জন্য হরেক রকম মেনু নিয়ে হাজির শহরের বিভিন্ন রেস্তরাঁ।
নতুন বছরের প্রথম দিনে সারা দিন হেঁশেলেই কাটিয়ে দিতে মন চায় আর ক’জনের? যদিও অনেক বাঙালি বাড়িতে এ দিন এলাহি খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্ত হয়, কিন্তু এখন সেই সংখ্যাটা ধীরে ধীরে কমে আসছে। সকলেই চান বছরের প্রথম দিনের গোটাটা গরমের মধ্যে হেঁশেলে না কাটিয়ে একটু ফুরফুরে ভাবে কাটাতে। তাই তাঁরা বেরিয়ে পড়েন শহরের নানা রেস্তরাঁর খোঁজে। কোথায় গেলে জমিয়ে পেটপুজো করা যাবে, তা অনেকেই জানতে চান। মুশকিল আসান করতে রইল তেমনই কিছু ঠিকানার খোঁজ।
একই রকম বাঙালি খাবারের বদলে এ বার যদি একটু অন্য রকম খানাপিনা করার ইচ্ছে হয়, তা হলে বাইপাসের ধারে গ্রেস আপনার জন্য আদর্শ। গন্ধরাজ ঘোল ফ্লোট, আলু পোস্তো ব্রুশেটার মতো নানা অভিনব পদ রয়েছে এদের মেনুতে। বাঙালি খাবার নিয়ে অবশ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে শহরের আরও অনেক রেস্তোরাঁ। সার্দান অ্যাভিনিউয়ের হোয়াটসঅ্যাপ কাফে যেমন এ রকমই জায়গা। মটন দই বড়া খেয়েছেন কখনও? না খেলে যেতে পারেন এখানে। রয়েছে আরও এমন ঠিকানা। রাজারহাটের সিটি সেন্টারের ট্র্যাফিক গ্যাস্ট্রোপাবে পেয়ে যাবেন আলু পোস্তো হ্যালেপিনো মসালা চিজ বল, পনীর পাতুরি, প্রন কাটলেট উইথ হরিয়ালি ফিশের মতো নানা পদ। আর খানার সঙ্গে পিনা? সে ব্যবস্থাও রয়েছে। নয়নের মণি, পরান যায় জ্বলিয়া, অুরাগের ছোঁয়া, রূপ মাধুরী— সবই কিন্তু ককটেলের নাম!
সুরাপ্রেমীদের জন্য অবশ্য রয়েছে আরও অনেক ঠিকানা। পার্ক স্ট্রিটের হার্ড রক কাফে চলে যেতে পারেন। এসপ্রেসো মার্টিনি, রিদ্ম রোজ অ্যান্ড মিউল, ট্রপিক্যাল মার্গারিটার মতো নানা স্বাদের ককটেল অপেক্ষা করছে। প্রিন্স আনওয়ার শাহ রোডের শপিং মলে ‘লর্ড অফ দ্য ড্রিঙ্কস’ও আরেক জনপ্রিয় গন্তব্য। ড্রিঙ্কের পাশাপাশি মুখ চালান কাসুন্দি ফ্রায়েড ফিশ বা কুচো চিংড়ি চিজ চুরমুর দিয়ে। সব শেষে নিতে পারেন রসোমালাই পানা কোটা।
যাঁরা পাতুরি, কষা মাংসের পাশাপাশি একটু স্বাদবদল করতে নানা স্বাদের ফুচকা-শরবত খেতে চান, তাঁরা যেতে পারেন সল্টলেক পাঁচ নম্বর সেক্টরের দ্য স্পিরিট্স-এ। আবার ঘি-ভাত, আলু পোস্ত, চিংড়ি মালাইকারির মতো নানা রকম বাঙালি পদ খেতে খেতে গান-বাজনা-ডিজে চাইলে ওই একই চত্বরে ক্লাব ফেনিশিয়া আপনার গন্তব্য হতে পারে।