আইন আদালত

কয়েদিদের সুযোগ-সুবিধাসহ সার্বিক প্রতিবেদন চেয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: কনডেমড সেল, কারাবন্দীদের সুযোগ-সুবিধা, কর্তৃপক্ষের নেওয়া পদক্ষেপসহ সার্বিক বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে লিখিত প্রতিবেদন দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষকে আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে লিখিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ রোববার প্রতিবেদন দিতে বলে ১৪ নভেম্বর পরবর্তী দিন রেখেছেন।

বিচারিক ও প্রশাসনিক ফোরামের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত আসামিকে কনডেমড সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও কনডেমড সেলে থাকা তিন আসামি গত ২ সেপ্টেম্বর রিট করেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর রিটটি শুনানির জন্য ওঠে।

সেদিন হাইকোর্ট দেশের কারাগারগুলোয় কতগুলো সেল, কতজন বন্দী ও কনডেমড প্রিজনার আছেন এবং কারাগারের সুযোগ-সুবিধা—এসব তথ্যসহ কারাগারের বর্তমান অবস্থা জানতে চান।

রাষ্ট্রপক্ষকে এসব তথ্য জানাতে বলে আদালত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য শুনানিতে তুলে ধরেন আইনজীবী শিশির মনির।

ওই তথ্যমতে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশের কারাগারে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির সংখ্যা ১ হাজার ৯৮৭। এর মধ্যে ১ হাজার ৯৩৩ জন পুরুষ ও ৫৪ জন নারী।

আর ব্যবহার্য কনডেমড সেলের সংখ্যা ১ হাজার ৫৯৯। এর মধ্যে ২ হাজার ৪৫৬টি পুরুষ ও ১৪৩টি নারীদের জন্য।

কনডেমড সেলে সাধারণত একজন করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি রাখা হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির তুলনায় সেলের সংখ্যা অপ্রতুল হলে একাধিক কয়েদিকে একসঙ্গে রাখা হয়। কারাগারে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিদের চিত্তবিনোদনের জন্য বইপুস্তক ও পত্রপত্রিকা দেওয়া হয়। এ ছাড়া সেলের আঙিনায় নিয়মিত শরীরচর্চার সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে।

শুনানিতে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের উদ্দেশে বলেন, প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছিল। রিপোর্ট এসেছে কি?

তখন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার বলেন, রিপোর্ট আসেনি।

তখন আদালত বলেন, ‘তাহলে একটা তারিখ দিচ্ছি। ১৪ নভেম্বরের মধ্যে সুযোগ-সুবিধাসহ সার্বিক বিষয়ে লিখিত আকারে প্রতিবেদন দেবেন।’

তিন রিট আবেদনকারী হলেন চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেথ সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আবদুর রশিদ ও কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির মো. শাহ আলম।

আরো পড়ুন:

ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের নির্দেশনার রিট খারিজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *