ক্যাসিওর নতুন জি-শক ঘড়ির ক্লাসিক নকশা

ক্যাসিওর নতুন জি-শক ঘড়ির ক্লাসিক নকশা প্রকাশ পেয়েছে। ক্লাসিক নকশায় জি-শক সিরিজের নতুন ঘড়ির ঘোষণা দিয়েছে জাপানি ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি ক্যাসিও। নতুন এ ঘড়িটি ব্যপক সাড়া ফেলছে ঘড়িপ্রেমীদের মধ্যে।

নতুন ‘জিএমডব্লিউবি৫০০০এমবি-১’ ঘড়িটির কেসিং ও পেছন দিক সম্পূর্ণ ধাতব। ‘পলিশিং’ ও ‘ফিনিশিং’ টেকনিক ব্যবহার করে এতে দেওয়া হয়েছে কয়েকটি ভিন্ন ফিনিশিং।

অন্যান্য ক্যাসিও জি-শক ঘড়ির মতোই, ‘জিএমডব্লিউবি৫০০০এমবি-১’ ঘড়িটিও সাজানো হয়েছে আয়ন-প্রলেপ দিয়ে, তবে এতে একটি ছোট ‘চমক’ রয়েছে।

প্রথমত, স্টেইনলেস স্টিল দিয়ে তৈরি এ ঘড়িটির উপাদানগুলো মসৃণ করতে সূক্ষ্ম ঘর্ষণকারী দিয়ে স্প্রে করানো হয়েছে (প্রক্রিয়াটি ‘হনিং’ নামে পরিচিত)। এর পর এতে দেওয়া হয়েছে কালো রঙের আয়ন-প্রলেপ।

ঘড়িটির বডি এবং ব্রেসলেটের রং ‘ম্যাট ব্ল্যাক’। এটির বেজেল মসৃণ করতে ব্যবহার হয়েছে হেয়ারলাইন ফিনিশ, ফলে এর নীচে থাকা রুপালি টোনের ধাতু দেখা যায়।

ঘড়িটির স্ক্রু আর বাটনে রয়েছে উজ্জ্বল আয়নার মতো ফিনিশিং। এর ফলে ঘড়ির বাকী অংশ থেকে এগুলো আলাদা ভাবে চোখে পড়ে। এটির ডায়ালে রয়েছে প্রথম জি-শক ঘড়ির কালো এবং ধূসর রঙের ‘ক্লাসিক ব্রিক প্যাটার্ন’।

নতুন এই ঘড়িটি গত বছর উন্মোচিত ‘জি-স্কোয়াড প্রো’র মতো স্মার্ট ঘড়ি নয়। তবে এতে রয়েছে একটি ব্লুটুথ মডিউল। ফলে, জি-শকের স্মার্টফোন অ্যাপের সঙ্গে সহজেই ঘড়িটি সংযোগ করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।

ঘড়িটির ব্যবহারকারী একটি বাটন চেপেই সময় রেকর্ড এবং লোকেশন সেট করতে করতে পারবেন। পাশাপাশি, ঘড়িটিতে রিমাইন্ডার সেটিং এবং নিজ দেশের লোকাল ক্যালেন্ডার সুবিধা থাকছে। এ ছাড়া বিশ্বের ৩০০ টির বেশি শহরের সময়ে সুইচ করতে পারবেন ব্যবহারকারী।

অন্যদিকে, নতুন ‘জিএমডব্লিউবি৫০০০এমবি-১’ ঘড়িতে জি-শক ঘড়ির কাছে প্রত্যাশিত সকল সুবিধাই থাকছে। এতে ২০০ মিটার পর্যন্ত পানি নিরোধ ফিচার, এলইডি ব্যাকলাইট, কাউন্টডাউন টাইমার, অডিও ক্যালেন্ডার এবং প্রতিদিনের জন্য পাঁচটি এলার্ম দেওয়ার সুবিধা রয়েছে। জি-শকের মূল ফিচার ‘শক রেসিস্টেন্স’ তো থাকছেই।

ঘড়িটি প্রি-অর্ডার করা যাবে ৩০ মার্চ থেকে। এ ছাড়া জি-শকের ওয়েবসাইট, থার্ড-পার্টি স্টোর এবং লন্ডনের ‘সোহো’তে অবস্থিত জি-শকের স্টোরে বিক্রির জন্য আসবে এপ্রিলে।

ঘড়িটির দাম ধরা হয়েছে ৬০০ ডলার এবং এটি আগের পুরো ধাতব ‘জিএমডব্লিউ’ মডেলের লাইন-আপের সঙ্গে থাকবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকরাডার।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *