খেলাধুলা

ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস দিয়েই ইতি টানছেন মাহমুদউল্লাহ

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: ১৭ মাস পর টেস্ট দলে ফিরেছিলেন নাটকীয়ভাবে। আট নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে একাদশে ঠাঁই পেয়ে ফেরাটা ১৫০ রানের ইনিংস দিয়ে উদযাপন করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অথচ এই ফেরাই হয়ে গেল তার শেষ। বিদায়েও হলো নাটকীয়তা এবং গোপনীয়তা। নিজে কোন ঘোষণা দেননি তবে হারারে টেস্টের শেষ দিনের খেলা শুরুর আগে বাংলাদেশের দলের ক্রিকেটাররা দাঁড়িয়ে মাহমুদউল্লাহকে দিলেন ‘গার্ড অব অনার’। এতেই পরিষ্কার হয়ে যায় সব।

অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার টেস্ট থেকে নিজে অবসরের ঘোষণা দেননি। কিন্তু ড্রেসিংরুমে জানানো তার এমন ইচ্ছার কথা বেরিয়ে আসে কিছু গণমাধ্যমে। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সেই খবর ছড়িয়ে পড়লেও নীরব থাকেন মাহমুদউল্লাহ। সেদিনের খেলা শেষে গণমাধ্যমের উদ্দেশে পাঠানো ভিডিওবার্তায় অবসর নিয়ে কিছুই বলেননি তিনি। তার এরকম ইচ্ছার কথা জেনে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসানও।

তবে সকল অস্পষ্টতা দূর করে দিল পঞ্চম দিনে মাঠে প্রবেশের মুহূর্ত। বিদায় নিচ্ছেন বলেই তো দাঁড়িয়ে তাকে সম্মান জানালেন সতীর্থরা।

নিজের শেষ টেস্ট সবচেয়ে আলোকিত মাহমুদউল্লাহর। শেষ টেস্টেই যে খেললেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।  জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে ব্যাটিং নিয়ে প্রথম দিনেই চরম বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। ১৩২ রানেই হারিয় ফেলেছিল ৬ উইকেট। পরে সপ্তম উইকেটে লিটন দাসের সঙ্গে গড়েন ১৩৮ রানের জুটি। ক্রিজে গিয়ে থিতু হতে সময় নেন। পরে সামলে নিয়ে রান বাড়ান। ৯৫ করে লিটন ফেরার পর গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু টেল এন্ডার তাসকিন আহমেদকে নিয়েও দারুণ লড়াই করেন মাহমুদউল্লাহ।

নবম উইকেটে আনেন ১৭৪ রান। তুলেন পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি। স্পর্শ করেন ক্যারিয়ার সেরা দেড়শো। তার এমন মুন্সিয়ানাতেই বিপদে থাকা অবস্থা থেকে বাংলাদেশ চলে যায় শক্ত অবস্থানে। এমন এক নৈপুণ্যের ম্যাচকেই নিজেদের ইতি হিসেবে বেছে নিলেন ৩৬ বছর বয়েসী এই তারকা।

২০০৯ সালে কিংসটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় মাহমুদউল্লাহর। এরপর এক যুগে তিনি খেলেছেন ৫০ টেস্ট। তাতে ৩৩.৪৯ গড়ে করেছেন ২ হাজার ৯১৪ রান। আছে ৫ সেঞ্চুরি আর ১৬ ফিফটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *