ক্যারিবিয়ান সফরে স্পিনার নিয়ে আশাবাদী স্পিন কোচ
অতীত অভিজ্ঞতার কারণেই, উইন্ডিজে এবার ভালো করবে বাংলাদেশ আর ক্যারিবিয়ান সফরে স্পিনার নিয়ে আশাবাদী স্পিন কোচ। পেসারদের ইনজুরি নিয়ে চিন্তা থাকলেও ইতিহাস বলছে স্পিনাররাও দাপট দেখাতে পারে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে।
শিষ্যদের নিয়ে তাই বেশ আশাবাদী স্পিন কোচ সোহেল ইসলাম। নিজে না যেতে পারলেও অনুশীলনেই তাইজুল-মিরাজকে উপায় বলে দিয়েছেন কীভাবে ভালো করতে হবে উইন্ডিজে।
স্পিন কোচ সোহেল ইসলাম বলেন, একটা ছেলে যখন একটা ফরম্যাটে খেলার পর চিন্তা করে আমি আরেক ফরম্যাটে খেলি তাহলে আমার জন্য ভালো হতে পারে। তবে তা নাও হতে পারে। তবে সে যে সাহস দেখিয়েছে, তাতে আমি তার প্রশংসা করি।’
যে দলে একজন ওপেনারকে ৪ নম্বরে ব্যাট করতে হতে পারে এমন সম্ভবনার কথা উঠতেই, রোষানলে পড়তে হয় সবাইকে, সেখানে কোচের কাছ থেকে এই অ্যাপ্রিসিয়েশন মনোবল অনেকটাই চাঙ্গা করে দিবে তাইজুলের।
লঙ্কা সিরিজের পর ছিলেন ছুটিতে। এসেই একদিনের অনুশীলনের সুযোগ থাকায়, মিস করেননি সেটা। সোহেল ইসলামকে নিয়ে ঝালাই করে নিয়েছেন কিছু কৌশল। রুটিনমাফিক বেসিকগুলো নিয়েই মূলত শিষ্যকে পরামর্শ দিয়েছেন গুরু।
উইন্ডিজে স্বাভাবিক অবস্থায় ছড়ি ঘোরায় পেসাররা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বদল এসেছে সে ধারণাতে। অ্যান্টিগা, গায়ানা, বার্বাডোজে এখন স্পিনারদের দাপটও দেখা যায় হরহামেশা। তাই তো, তাইজুলকে এশিয়ান লেংথের সঙ্গে উইন্ডিজের পার্থক্যটা ধরিয়ে দিয়েছেন কোচ।
সোহেল বলেন, ‘আমাদের দেশের উইকেতে বল একটু কম বাউন্স খায়। আর আমাদের দেশের পিচে বল স্কিড করে। ফলে বল যদি একটু পেছনে করা যায় তাহলে বল স্কিড করে ভেতরে ঢুকে। আর ওইখানে (ওয়েস্ট ইন্ডিজে) বল ব্যাক ফুটে যেয়ে খেলতে হয়। আর সেখানে বল সামনে করতে হয় আর বলে স্পিনও থাকতে হয়।’
ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জিতলেও, উইন্ডিজের মাটিতে টেস্টে বাংলাদেশের অবস্থা খুবই নাজুক। কিন্তু সোহেল ইসলাম আশাবাদী এবারের সফর নিয়ে। ২০১৮’র অভিজ্ঞতাই নাকি এবার এগিয়ে রাখবে সাকিবের দলকে।
স্পিন কোচ সোহেল বলেন, ‘তখন মিরাজ, তাইজুল, সাকিব ছিল। তারা এখন অভিজ্ঞ হয়ে গেছে এই চার বছরে। এই সময়ে তারা দেশের বাইরে অনেকবার খেলেছে, ফলে এই অভিজ্ঞতার তো সুফলও আছে। তো আমি বলবো তারা ওইখানে ভালো করবে।’
নিজে না গেলেও, যে কোনো সমস্যায় স্পিনারদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে সোহেল ইসলামের।