কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশের তাকরিম
আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশের তাকরিম। কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথম স্থান করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম (১৩)।
গত ৫ মার্চ ইরানের রাজধানী তেহরানে তেহরানের আন্দিশাহ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ৩৮তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত বিজয়ীদের তালিকায় তাঁর নাম ঘোষণা দেওয়া হয়। ইরানের ইন্টারন্যাশনাল কোরআন নিউজ এজেন্সি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নিউজ এজেন্সি সূত্রে জানা যায়, ছয় দিনব্যাপী প্রতিযোগিতার বর্ণাঢ্য সামাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা দেওয়া হয়।
এবারের আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ২৯টি দেশ থেকে নির্বাচিত ৬২ জন প্রতিযোগী ভার্চুয়ালি অংশ গ্রহণ করে। তাদের মধ্য থেকে ১০ বিভাগে ৩০ জনকে চূড়ান্ত বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।
১০টি ক্যাটাগরিতে পুরুষ ও নারী বিভাগে মোট ৩০ জন বিজয়ীর নাম ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এতে স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ছেলে শাখার পুরো কোরআন হিফজ বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেছে বাংলাদেশের প্রতিযোগী সালেহ আহমদ তাকরীম।
আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযাগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইরানের সংস্কৃতি ও ইসলামী দাওয়াহ বিষয়ক মন্ত্রী মুহাম্মাদ মেহদি ইসমাইলি এবং আওকাফ ও দাতব্য বিষয়ক সংস্থার প্রধান সৈয়্যেদ মাহদি খামুসি। সমাপনী অনুষ্ঠানে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির থাকার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে তিনি উপস্থিত ছিলেন না।
হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিম ঢাকার মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী মাদরাসার শিক্ষার্থী। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার ভাদ্রা গ্রামে। তার বাবা হাফেজ আব্দুর রহমান মাদরাসার শিক্ষক এবং মা গৃহিণী। গত বছরের ২২ আগস্ট ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়।
আন্তর্জাতিক অঙ্গণে হাফেজ তাকরীম কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখায় দেশবাসীর কাছে তার জন্য দোয়া চেয়েছেন মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল গুলশান সোসাইটি জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুরতাজা হাসান ফয়েজী মাসুম।
তিনি জানান, এ প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থী কুয়েত, মিশর ও আলজেরিয়ার আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার জন্য বাংলাদেশের প্রতিনিধি নির্বাচিত হলেও করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। তিনি বলেন, আল্লাহ যেন তাকরীমসহ ইলমে দ্বীনের সব শিক্ষার্থীকে আন্তর্জাতিক মানের আলেম ও দ্বীনের সেবক হওয়ার তাওফিক দান করেন।