ধূমকেতু ডেস্ক: চলতি মাসের শুরুর দিকে সর্বপ্রথম তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের ফলাফলে তাদের কোভিড-১৯ টিকার সাফল্য সম্পর্কে জানিয়েছিল ফাইজার ইঙ্ক। তারই ধারাবাহিকতায় মহাকায় কোম্পানিটি শুক্রবার (২০ নভেম্বর) এর জরুরি ব্যবহার অনুমোদন দিতে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) কাছে আবেদন করার কথা জানিয়েছে।
আবেদনের কথা ঘোষণার সময় ফাইজার জানায়, বড় আকারের ট্রায়ালের ফলাফলে টিকাটি নিরাপদভাবে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সক্ষম বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এসংক্রান্ত পর্যাপ্ত তথ্য থাকায় তারা এফডিএ’র কাছে জরুরি প্রয়োগের অনুমতি চাইবে। খবর বাজফিড নিউজের।
এফডিএ’র- সবুজ সংকেত পাওয়া মাত্র বিশ্বব্যাপী ৫ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করবে ফাইজার। তবে বেশিরভাগ টিকা পাবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি।
যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি ভিত্তিতে প্রথমেই প্রায় ২ কোটি স্বাস্থ্য কর্মীকে টিকাটি দেওয়া হবে। এজন্য অবশ্য প্রয়োজন দেশটির রোগ প্রতিরোধ কেন্দ্র- সিডিসি’র নির্দেশনা। সিডিসি’র পরামর্শক প্যানেল স্বাস্থ্যকর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেই তারা সবার আগে টিকা কর্মসূচির আওতায় আসবেন।
ইতোপূর্বে, গত ১৮ নভেম্বর কোম্পানিটি তাদের শেষ ট্রায়ালের প্রাথমিক বিশ্লেষণী তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করে। এতে প্রায় ৪৩ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী অংশ নেন। ট্রায়াল চলাকালে ১৭০ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হন। এদের মধ্যে আটজন প্রতিষেধক পেয়েছিলেন, বাকি ১৬২ জনকে প্লেসেবো হিসেবে অন্য ওষুধের নির্যাস দেওয়া হয়।
আক্রান্তদের দেহে ৯৫ শতাংশ কার্যকর হয় ফাইজারের ভ্যাকসিন। সংখ্যা বিবেচনায় টিকার ফলপ্রসূতা নিয়ে যা খুবই সম্ভাবনাময় দিক তুলে ধরে।
ট্রায়ালের দুই মাসের সফলতা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য অনুমোদনের জন্য এফডিএ’কে জমা দিতে হয়। এসব তথ্য পর্যালোচনা করেই নিয়ামক সংস্থাটি টিকাদানের জন্য কোনো প্রতিষেধক উপযুক্ত কিনা- সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়।
ফাইজার টিকাগ্রহণকারী ৩.৮% ক্লান্তি এবং ২ শতাংশ মাথাব্যথার মতো মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হন। সেই তুলনায় সফলতার হার বেশি থাকায় অচিরেই অনুমোদন পাওয়ার আশা করছে ফাইজার।