অভিমত

কোভিডে স্বস্তির নিঃশ্বাস ‘জয় বাংলা অক্সিজেন সার্ভিস’

লিমন নন্দি :

মহামারী করোনার আতঙ্কে দেশবাসী যখন দিশেহারা, আক্রান্তদের ফুসফুস একটু অক্সিজেনের অভাবে ব্যাকুল, তখন অক্সিজেনই মানুষের সবচেয়ে বড় বন্ধু। চারিদিকে যখন অক্সিজেনের ব্যাপক চাহিদা, দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে তখন আশার প্রদীপ হাজির হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন তরুণ ছাত্রনেতা। “জয় বাংলা অক্সিজেন সেবা” নামে বিনামূল্যে আক্রান্তদের দোরগোড়ায় অক্সিজেন পৌঁছে দিচ্ছেন তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদ্য সাবেক স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সাদ বিন কাদের চৌধুরীর উদ্যোগে ও ছাত্রলীগের উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক সবুর খান কলিন্স এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সদস্য রফিকুল ইসলাম সবুজের সহযোগিতায় চলছে বিনামূল্যের এ কার্যক্রম।

“একটি নতুন ভোরের প্রতিক্ষায়” এই স্লোগানকে সামনে রেখে মাত্র ৬টি সিলিন্ডার নিয়ে গত বছরের ২৫ জুন থেকে শুরু হয় “জয় বাংলা অক্সিজেন সেবা”। এক বছরে প্রায় আট হাজার রোগীকে সেবা দিয়ে এসেছেন এই সেচ্ছাসেবকেরা।

রাজধানীতে শুরু হলেও বর্তমানে ১৪০টি সিলিন্ডার ও ১৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে সারাদেশে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা।

সেচ্ছাসেবকদের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৫টি বিভাগীয় শহরে ও ৭টি জেলা শহরে সরাসরি কার্যক্রম রয়েছে জয় বাংলা অক্সিজেন সেবার। বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট এবং জেলা শহরগুলো হচ্ছে ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, কক্সবাজার, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এছাড়াও যেসব জায়গায় সরাসরি সেবা চালু হয়নি সেখানে কুরিয়ারের মাধ্যমে বা এম্বুল্যান্সে করে সিলিন্ডার পাঠান উদ্যোক্তারা।

বাংলাদেশের যে কোনো জায়গা থেকে ফেইসবুক গ্রুপ “জয় বাংলা অক্সিজেন সেবা” তে দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করে বা স্বেচ্ছাসেবকদের যে কারো সাথে যোগাযোগ করে খুব সহজেই পাওয়া যাচ্ছে এই সেবা।

সেবার বিষয়ে উদ্যোক্তা সাদ বিন কাদের চৌধুরী বলেন, আমরা যে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন নিরুৎসাহিত করি। সকলের ভালোবাসা ও সহযোগিতায় আমরা এই কর্যক্রমটি পরিচালনা করে আসছি। তিনি আরো বলেন, যতদিন সংকট আছে ততদিন আমরা এই সেবা নিয়ে মানুষের পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *