ক্রীড়া প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: চূড়ান্ত ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের লাইনআপ। রোববার (১৪ নভেম্বর) দুবাইয়ের শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।
দু’দলই এখন পর্যন্ত পায়নি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপার স্বাদ। তাই এবার নতুন চ্যাম্পিয়ন পাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্ব। কতটা কঠিন ছিল দু’দলের ফাইনালে আসার যাত্রা তাই থাকছে এই প্রতিবেদনে।
কথায় আছে শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। ম্যাথু ওয়েড ও স্টয়নিসের এ হাসিই বলে দেয় পথ যত কঠিনই হোক না কেন? হাল ছেড়ো না। বিপদে কঠোর পরিশ্রমের ফলেই মেলে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। দুবাই দ্বিতীয় সেমিফাইনালের শুরু থেকে আধিপত্য থাকলেও হাল না ছেড়ে চাপমুক্ত থেকে দ্বিতীয়বারের মত ফাইনালের মঞ্চে জায়গা করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। কেমন ছিল অজিদের এখন পর্যন্ত আসার পথটা?
সুপার টুয়েলভে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে শুরু। দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অ্যারন ফিঞ্চদের জয় ৭ উইকেটে। তৃতীয় ম্যাচে এসে হোঁচট খায় অস্ট্রেলিয়া। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে হেরে যায় ফিঞ্চ, ওয়ার্নাররা। বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে আবারও জয়ে ফেরা। সুপার টুয়েলভের শেষ ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অজিদের কাছে হারে ৮ উইকেটে। সেমিইনালে তো পাকিস্তানের স্বপ্নজাত্রা থামিয়ে নাটকীয় জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। লক্ষ্য এখন টি টোয়েন্টির অধরা শিরোপা।
বিশ্ব ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ড কতটা অপ্রতিরোধ্য সেটা গেল তিন বছরের পারফরমেন্সে চোখ রাখলেই বোঝা যায়। ২০১৯ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গের পর, এ বছর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও উঠেছিলো ব্লাক ক্যাপস। আর এ বছরই তৃতীয়বারের মতো কোনো আসরের ফাইনালে পা রাখল নিউজিল্যান্ড। যদিও বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে উইলিয়ামসনদের শুরুটা হয়েছিল হার দিয়ে। পাকিস্তানের কাছে ৫ উইকেটের হারে শুরু হয় তাদের।
ভারতকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে জয়ে ফেরে তারা। পরের তিন ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের শিকার স্কটল্যান্ড, নামিবিয়া ও আফগানিস্তান। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের শোধ নেয় তারা। লক্ষ্য এখন দুবাই জয়।
আরো পড়ুন:
এএইচএফ উন্নয়ন কমিটির প্রধান হলেন ইরানের মিত্রা নৌরি