ডেস্ক নিউজ, সুখবর ডটকম: কেনিয়ার বাজারে চীনা মাছের আধিপত্য রুখতে চীন থেকে মাছ আমদানি বন্ধ করার জন্য আবগারি শুল্ক আইন ২০১৫ সংশোধন করার জন্য বিল উত্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আলেগো উসোঙ্গা এমপি স্যামুয়েল আতান্ডি।
জাতীয় এসেম্বলির স্পিকার মোসেস ওয়েটাং’উলার কাছে একটি চিঠিতে তিনি বলেন, এ আইন সংশোধন করে আমদানিকৃত মাছের উপর ২০ শতাংশ হারে আবগারি শুল্ক ধার্য করা উচিত।
তিনি বলেন, আমদানিকৃত চীনা মাছগুলো সস্তাদামে বাজারে বিক্রি হয়। ফলে কেনিয়ার আঞ্চলিক মাছ ব্যবসায়ীরা লাভের মুখ দেখেন না।
বর্তমানে চীন থেকে আমদানিকৃত মাছ কেনিয়ার মাছগুলো থেকে সস্তা দামে বিক্রি হচ্ছে। ফলে এই মাছ আমদানি স্থানীয় বাজারে বিরূপ প্রভাব ফেলছে এবং অনেক লোক মৎস্য শিল্পের সাথে আর যুক্ত হতে চাইছেন না।
মাছ চাষ, আহরণ এবং বিক্রয়ের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১২ লাখ লোক জড়িত।
আবগারি কর নির্দিষ্ট পণ্য ও পরিষেবার উপর ধার্য করা হয়েছে। কেনিয়ায় আবগারি কর সাপেক্ষে পণ্য ও পরিষেবার তালিকা আবগারি শুল্ক আইন ২০১৫ এর প্রথম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
তফসিলের প্রথম অংশে পণ্যগুলোর তালিকা রয়েছে এবং দ্বিতীয় অংশে রয়েছে পরিষেবাগুলোর তালিকা।
অতীতে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পদার্থের উপর আবগারি শুল্ক আরোপিত হতো। ফলে আবগারি শুল্ককে “পাপ কর” হিসেবে দেখা হতো। মূলত বিভিন্ন পদার্থের যেমন, মদ, তামাক, পেট্রোলিয়াম পণ্য, অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয়ের উপর দাম বৃদ্ধি করে সেগুলোর ব্যবহার সীমিত করা হতো।
কেনিয়ার রাষ্ট্রীয় মৎস অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে কেনিয়া চীন থেকে ১৪৮ কেজি মাছ আমদানি করে, যার বাজারমূল্য ২০ কোটি। অন্যদিকে ২০২০ সালে কেনিয়া ১৫ কোটি বাজারমূল্যের মাছ আমদানি করেছিলো চীন থেকে।
অর্থাৎ ২০২০ সালে করোনার কারণে আমদানি একটু কম হওয়ার পরেও সাম্প্রতিক সময়ে এর পরিমাণ ক্রমবর্ধমান।
জানা যায়, স্থানীয় ভিক্টোরিয়া হ্রদ থেকে মাছ আহরণ কমে যাওয়ার কারণেই চীন থেকে আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
তবে চীন ছাড়াও কেনিয়া নরওয়ে, তানজানিয়া, ভারত এবং উগান্ডা থেকেও মাছ আমদানি করে।
এমএইচডি/আইকেজে
আরো পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনা বেলুনের উড্ডয়ন অপ্রত্যাশিত ঘটনা : চীন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়