আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ধূমকেতু বাংলা: কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণায় আনন্দে জিলাপি বিতরণ করছেন ভারতীয় কৃষকরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণায় ভারতে মিষ্টি বিতরণ করেছেন কৃষক আন্দোলনের নেতারা। শুক্রবার সকালে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণা শোনার পর দিল্লির সিঙ্ঘু ও গাজিপুর সীমানায় বদলে যেতে শুরু করে দৃশ্যপট। যে সীমানা দীর্ঘ এক বছর ধরে হয়ে উঠেছে কৃষক আন্দোলনের দুর্গ। শুক্রবার সেই দুই সীমানায় কৃষক দুর্গ যেন এক মুহূর্তে উচ্ছ্বাসের বানে ভেসে গেছে।
জয়োল্লাসের ছবি সীমানার কানায় কানায়। গুরু নানক জয়ন্তীতে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিচ্ছে কেন্দ্র। এই ঘোষণার পর পরই দৃশ্যটা বদলে যেতে শুরু করে সিঙ্ঘু এবং গাজিপুর সীমানায়।
অন্য দিনের মতো শুক্রবারও এই দুই আন্দোলনস্থলে ভোর থেকে ছবিটা স্বাভাবিকই ছিল। ছড়িয়ে ছিটিয়ে কৃষকরা। শীতের রাজধানীতে সবে উষ্ণতার ছোঁয়া নিচ্ছিলেন কৃষকরা। সিঙ্ঘু সীমানায় কয়েক বর্গকিলোমিটার জুড়ে আন্দোলনকারী কৃষকদের সারিবদ্ধভাবে তাঁবু ফেলা।
আগের মতো বিপুল সংখ্যায় কৃষক না থাকলেও আন্দোলনস্থলের চেহারা বদলায়নি। প্রতি দিনই সকাল ১০টা থেকে ধরনা মঞ্চে হাজির হন কৃষকরা। কিন্তু শুক্রবার যেন আচমকাই ছবিটা বদলে যেতে শুরু করে। বিপুল সংখ্যায় কৃষক জড়ো হন সিঙ্ঘু সীমানায়। কৃষি আইন প্রত্যাহারের খবর শুনতেই উল্লাসে মাতেন তারা। মিষ্টি, জিলাপি বিতরণ করা হয়। আনন্দে পরস্পরকে আলিঙ্গন করা এমনই ছবি ধরা পড়েছে সেখানে।
কৃষকদের কাছে এ এক বিশাল জয়। দীর্ঘ এক বছর আন্দোলনের জয়। আর সেই জয়ের আস্বাদ উপভোগ করতে দেখা গেল কৃষকদের। দুই সীমানায় ফিরে এলো উচ্ছ্বাসের ছবি। আর সেই জোয়ারে গা ভাসালেন দেশের অন্য প্রান্তের কৃষকরাও।
২০২০ -এর ২৫ নভেম্বর রাজধানীতে আন্দোলনে নেমেছিলেন কৃষকরা। পাঞ্জাব, হরিয়ানা থেকে প্রচুর সংখ্যায় কৃষক হাজির হয়ে সেই আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে তোলেন। দীর্ঘ সেই আন্দোলনের ফসল তুলতে পেরে খুশি আন্দোলনকারীরা। গাজিপুর সীমানায়ও একই দৃশ্য দেখা গেছে। কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা শোনার পর কৃষকরা স্লোগান তোলেন, ‘কিষাণ জিন্দাবাদ।’
আরো পড়ুন: