কৃষি-মৎস্য

কৃষকের জীবনকে সহজ করে দিলো ‘কম্বাইন্ড হারভেস্টর’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কৃষকদের মাঠের ধান কেটে দিচ্ছে কম্বাইন্ড হারভেস্টর নামের আধুনিক মেশিন। শুধু ধান কাটাই নয়, শ্রমিক ছাড়াই অল্প সময়ের মধ্যে মাড়াইও করা যায়। একই সঙ্গে এ মেশিনটি ধান ঝেড়ে পরিস্কার করে বস্তা ভর্তি করে ক্ষেত থেকেই কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে। তাই মেশিনটি এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কৃষকের উৎপাদন খরচ এবং সময় বাচাঁতে সক্ষম এসব প্রযুক্তির ব্যবহারে কৃষিতে বিপ্লব ঘটবে বলে এমনটাই জানিয়েছেন কৃষিবিদরা।

উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১০টি কম্বাইন্ড হারভেস্টর মেশিন কৃষকদের দেয়া হয়েছে। প্রতিটি মেশিনের মূল্য ২৫ লাখ টাকা। এসব আধুনিক কম্বাইন্ড হারভেস্টারের সাহায্যে ঘন্টায় দেড় একর জমির ধান কাটা এবং একই সাথে মাড়াই কাজ সম্পন্ন করতে পারবে কৃষকরা। এছাড়া এর আগে আরো ৫টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, মাঠের ধান পাকলেই কাটার জন্য দুশ্চিন্তা বেড়ে যেত। গ্রামে গ্রামে শ্রমিক খুঁজতে হতো। আর শ্রমিক পাওয়া গেলেও মজুরি ও খরচ বেশি হওয়ায় পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়তে হতো এসব কৃষকের। তবে এখন ওইসব কৃষকদের সেই চিন্তা দুর হয়েছে। এ জনপদের কৃষকরা আধুনিক মেশিন দিয়ে ক্ষেতে ধান কাটছেন। অল্প সময়ের মধ্যে কম খরচে ধান কেটে মাড়াই করে ঘরে তোলার সুযোগ পেয়ে কৃষকেরাও এখন অনেক খুশি।

বালিতলী ইউনিয়নের কৃষক মো.মুছা বলেন, সে এ বছর ২ একর ৪০ শতাংশ জমিতে আমন চাষ করেছে। কম্বাইন্ড হারভেস্টর মেশিন দিয়ে তার ক্ষেতের ধান কেটেছেন। এতে মাত্র দুই ঘন্টা সময় লেগেছে। আর খরচ হয়েছে মাত্র ৯ হাজার টাকা। এর আগে প্রতি শ্রমিকের জন্য প্রতিদিনই গুনতে হতো ৭০০-৮০০ টাকা। আবার শ্রমিকও পাওয়া যেত না। অপর এক কৃষক মো. সেহাগ বলেন, এখন আর ধান কাটার শ্রমিক লাগে না। মেশিন দিয়ে কাটা হচ্ছে ক্ষেতের ধান। একই সঙ্গে ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়া ও বস্তায় ভরা যায়। এতে দূর হয়েছে শ্রমিক সংকট।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এম আর এম সাইফুল্লাহ বলেন, ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজে কম্বাইন্ড হারভেস্টার যন্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। এ উপজেলায় ১৫টি মেশিন দিয়ে কৃষকদের ধান কাটা হচ্ছে। এতে সময় ও খরচ অনেক কম লাগে বলে তিনি জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

বেড়েছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *