আইন আদালতপ্রচ্ছদ

কুমিল্লার ঘটনামণ্ডপে কোরআন রাখার ‘স্বীকারোক্তি’ ইকবালের


কুমিল্লা শহরের নানুয়ার দিঘিরপারের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার কথা স্বীকার করেছেন ‘প্রধান অভিযুক্ত’ ইকবাল হোসেন (৩২)। গতকাল শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজার থেকে কুমিল্লা পুলিশ লাইনসে আনার আধাঘণ্টা পর একজন পুলিশ কর্মকর্তা এসে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল এই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালীর তিন ছাত্রলীগকর্মীর সহায়তায় বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে ইকবালকে আটক করে পুলিশ। গতকাল দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাঁকে কুমিল্লা পুলিশ লাইনসে নিয়ে আনা হয়।
গত ১৩ অক্টোবর সকালে কুমিল্লা শহরের নানুয়ার দিঘিরপারের ওই পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে একদল লোক ওই মণ্ডপসহ কয়েকটি মণ্ডপ-মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর চালায়। ওই ঘটনার পর চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে পূজামণ্ডপ-মন্দিরে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় সাতজন মারা গেছেন। কুমিল্লায় আহত একজন গতকাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, কুমিল্লা নগরীর ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচটি মামলা করা হয়েছে। যার মধ্যে চারটি করেছে পুলিশ আর একটি করেছে র‌্যাব। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এরই মধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে ঘটনার আগের রাতের দুটি ক্লোজড সার্কিট টিভি ক্যামেরার ফুটেজ প্রচারে এসেছে। ওই সব ফুটেজে দেখা যায়, এক ব্যক্তি পূজামণ্ডপের কাছের শাহ আবদুল্লাহ গাজীপুরী (রহ.)-এর মাজার মসজিদ থেকে কোরআন শরিফ নিয়ে মণ্ডপের দিকে যাচ্ছেন। এরপর গদা হাতে ফিরে আসতেও দেখা যায়। ঘটনার দিন ভোরে মণ্ডপের থিম হনুমানের মূর্তির গদাটি ছিল না। এর মাথার ওপর কোরআন রাখা ছিল। মাজারে মসজিদে দুই ব্যক্তির সঙ্গে ‘প্রধান সন্দেহভাজন’ ব্যক্তির আলাপ হওয়ার দৃশ্যও ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। তাঁরা ইসলামী ছাত্রসেনা নামের একটি সংগঠনের কর্মী-সমর্থক। দুজনই পুলিশের কবজায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।  ফুটেজের ওই ব্যক্তি ইকবাল হোসেন বলে পুলিশ শনাক্ত করে। তিনি নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের দ্বিতীয় মুরাদপুর-লস্করপুকুর (সুজানগর) এলাকার মাছ ব্যবসায়ী নূর আহম্মদ ওরফে আলমের ছেলে। পুলিশ, স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের পক্ষ থেকে ইকবালকে মাদকাসক্ত, মানসিক ভারসাম্যহীন ও ভবঘুরে দাবি করা হয়েছে। সবাই বলছে, তাঁকে তৃতীয় কোনো পক্ষ ব্যবহার করেছে।
যেভাবে ইকবাল আটক : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজের তিন ছাত্র সাজেদুর রহমান অনিক, মেহেদী হাসান মিশু ও সাইফুল ইসলাম সাইফ। তাঁদের মধ্যে সাইফ কক্সবাজারে চাকরি করেন। ১০ বছর ধরে কোনো কমিটি না হওয়ায় তাঁরা নিজেদের ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ কর্মী হিসেবে দাবি করেন। অনিক ও মিশু কক্সবাজার বেড়াতে গিয়েছিলেন। তিন বন্ধু সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে গিয়ে ইকবালের মতো এক ব্যক্তিকে দেখেন। তাঁদের সহায়তায় পুলিশ ইকবালকে আটক করতে সক্ষম হয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আরমান সাংবাদিকদের জানান, অনিক, মিশু ও সাইফ ছাত্রলীগের কর্মী।
ইকবালের ধরা পড়ার বিবরণ দেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র অনিক। তিনি ফোনে জানান, ১৯ অক্টোবর সোমবার রাতে মিশুসহ তাঁরা পাঁচ বন্ধু মিলে কক্সবাজার বেড়াতে যান। বাকি তিনজন রায়হান, মামুন ও হৃদয় ঢাকায় থাকেন। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে থাকা আরেক বন্ধু সাইফ তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। এরপর বিকেল ৪টায় ঘুরতে বের হন তাঁরা। সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে আড্ডার মধ্যে তাঁরা গান গাইছিলেন। পাশে থাকা এক ব্যক্তিও তাঁদের সঙ্গে সুর মেলান। রাতে টেলিভিশনে ও ফেসবুকে ইকবালের ছবি দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়।
হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র মেহেদী হাসান মিশু বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে তাঁরা সুগন্ধা পয়েন্টে গেলে ইকবালের মতো দেখতে ওই ব্যক্তির সঙ্গে আবার দেখা হয় এবং তাঁরা সখ্যতা গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তি পালিয়ে যেতে চাইলে তাঁকে নাশতা খাইয়ে ও সিগারেট দিয়ে কৌশলে আটকে রাখেন। এ সময় তাঁর নাম জানতে চাইলে তিনি ইকবাল বলে জানান। তাঁর ছবি তুলে তাঁরা মোবাইল ফোনে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারের (এএসপি) সঙ্গে কথা বলে ছবি পাঠান।
এএসপি শাহ ইমরান কালের কণ্ঠকে বলেন, অনিক ও মিশু বিষয়টি জানানোর পর তিনি কুমিল্লার পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আর অনিক ও মিশুকে ওই ব্যক্তির ওপর নজর রাখতে বলেন।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) ফারুক আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, মোবাইল ফোন ব্যবহার না করায় ইকবালের গতিবিধি জানা যাচ্ছিল না। নোয়াখালীর পুলিশ সুপার তাঁকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ইকবালের মতো এক ব্যক্তিকে ঘুরতে দেখার বিষয়টি জানান। তারপর নোয়াখালীর ওই ছাত্রদের ফোন নম্বর নিয়ে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ছাত্ররা তাঁকে ছবি পাঠানোর পর ইকবালের মা আমেনা বেগমকে দেখিয়ে নিশ্চিত হন। এর পরই কক্সবাজার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইকবালকে আটক করা হয়। ওই রাতেই কুমিল্লা পুলিশের একটি দল কক্সবাজারে পাঠানো হয়। গতকাল সকাল ৬টা ২০ মিনিটে কক্সাবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে তাঁকে নিয়ে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা হয় দলটি।
ইকবালকে জিজ্ঞাসাবাদ : কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, কোরআন অবমাননার ঘটনায় তাঁকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কী কারণে তিনি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখলেন এবং এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত রয়েছে তাঁরা সেটা জানার চেষ্টা করছেন।
ইকবালের ‘স্বীকারোক্তি’ : দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লা পুলিশ লাইনসের ফটকে অপেক্ষা করছিলেন গণমাধ্যমকর্মীরা। তখন ইকবালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। এর অল্প কিছুক্ষণ পর কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম তানভীর আহমেদ বেরিয়ে এলে গণমাধ্যমকর্মীরা ইকবালের বিষয়ে জানতে চান। তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল স্বীকার করেছেন যে তিনি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ নিয়ে রেখেছেন। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাঁর পরিবারও বলেছে তিনিই এই অপকর্ম করেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা তানভীর বলেন, ‘আমরা ইকবালকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। এর বেশি এখন কিছু বলা যাচ্ছে না।’ শিগগিরই এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হতে পারে বলে তিনি জানান। তবে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কোনো সংবাদ সম্মেলন করেনি জেলা পুলিশ। জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, আজ শনিবার এ বিষয়ের বিস্তারিত জানানো হতে পারে।
ইকবালের সঙ্গে দুজনের আলাপ : নানুয়ার দীঘিরপাড়ের পূজামণ্ডপের কাছের শাহ আবদুল্লাহ গাজীপুরী (রহ.)-এর মাজার ও মসজিদ থেকেই কোরআন শরিফটি নিয়েছিলেন ইকবাল। গত বুধবার দুটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার রাতে ১৬ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের আরেকটি ফুটেজ প্রকাশ করেছে পুলিশ। এই ফুটেজে পরিষ্কারভাবে দেখা যায়, ইকবাল কিভাবে মসজিদ থেকে কোরআন হাতে নিয়ে পূজামণ্ডপে গেছেন। ফুটেজের একটি অংশে দেখা যায়, ১২ অক্টোবর (ঘটনার আগের দিন) রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে মসজিদের বারান্দায় দুজন ব্যক্তি বসে আছেন। রাত ১০টা ৫৮ মিনিটে ইকবাল এসে ওই দুজনের সঙ্গে বসে কথা বলেন। এই দুজন হলেন মাজারের সহকারী খাদেম হিসেবে পরিচিত হুমায়ুন কবির ও ফয়সাল আহমেদ। ঠিক ১১টায় তিনজনই সেখান থেকে উঠে পড়েন। এরই মধ্যে হুমায়ুন ও ফয়সালকে আটক করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। মাসুদ নামের ওই মাজারে এক খাদেম বলেছেন, ঘটনার সময় তিনি অসুস্থ ছিলেন। এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। তবে জেনেছেন হুমায়ুন ও ফয়সালকে পুলিশ পরিচয়ে আটক করে নিয়ে গেছে। গতকাল সন্ধ্যায় এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার কুমিল্লা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদ মো. মাইনুদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘হুমায়ুন আমাদের কর্মী। তিনি সব অনুষ্ঠানে যোগদান করতেন। আর ফয়সাল আমাদের সমর্থক। তিনিও মাঝে মাঝে অনুষ্ঠানে আসতেন। পুলিশ তাঁদের আটক করেছে কি না, আমি জানি না।’ তিনি আরো বলেন, ‘ঘটনার দিন সকালে হুমায়ুন আমাকে ফোন করেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন সেখানে পূজামণ্ডপে ঝামেলা হচ্ছে। তাঁর বাসা মাজারের পাশে। এর পর থেকে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ নেই। তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ পাচ্ছি।’
এ ছাড়া ইকরাম হোসেন নামের আরেকজন পুলিশের হাতে আটক রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তিনি ১৩ অক্টোবর ভোরে ঘটনাস্থল থেকে জাতীয় জরুরি সেবার হেল্পডেস্ক নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করেন।
এই তিনজনকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না—জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তানভীর আহমেদ বলেন, ‘আপনারা আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছেন, আর এক দিন সময় দেন। শনিবার এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাব।’
আরেকটি মন্দিরে কোরআন রাখার চেষ্টা : নানুয়ার দীঘিরপাড়ের সেই পূজামণ্ডপে শুরুতে ঢুকতে ব্যর্থ হয়েছিলেন ইকবাল হোসেন। এরপর তিনি গিয়েছিলেন ওই মণ্ডপ থেকে কিছুটা দূরে দিগম্বরীতলা এলাকার গুপ্ত জগন্নাথ মন্দিরে। মন্দিরের ফটকে লাগানো তালা লাঠি দিয়ে ভাঙতেও চেষ্টা করেন, কিন্তু পারেননি। আবার ফিরে আসেন নানুয়ার দীঘিরপাড়ে। পূজামণ্ডপটি তখন লোকশূন্য ছিল। এর সুযোগে তিনি কোরআন শরিফটি হনুমানের মূর্তির ওপর রাখেন। মসজিদ থেকে বের হওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর কোরআন রেখে হনুমানের গদা হাতে ফিরে আসেন ইকবাল। পুলিশের প্রকাশ করা ১৬ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের সিসিটিভি ফুটেজে এভাবেই ঘটনাটি এসেছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার কালের কণ্ঠকে বলেন, মসজিদ থেকে কোরআন নিয়ে হাতে করে ইকবাল ডান দিকে না গিয়ে বাঁ-দিকে যান। তিনি নগরীর রাজগঞ্জ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে এরপর পূজামণ্ডপে যান। এটা নিশ্চিত যে দারগাহবাড়ির মাজার মসজিদ থেকেই ইকবাল কোরআন নিয়ে পূজামণ্ডপে রেখেছেন।
তৃতীয় পক্ষ কারা : পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিনই পূজামণ্ডপে যে কোরআন রেখে এসেছেন তাঁকে চিহ্নিত করা হয়। পরদিন ১৪ অক্টোবর রাতে ইকবালকে শনাক্ত করা হয়। এরপর তাঁর নাম প্রকাশিত হলে তখন থেকেই আলোচনায় আসছে ‘তৃতীয় পক্ষের’ বিষয়টি। ইকবালের পরিবার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি—এমনকি পুলিশও ধারণা করছে অন্য কোনো পক্ষ তাঁকে দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। গতকাল পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেছেন, এ ঘটনার পেছনে কারা জড়িত সেটি জানতে তাঁরা ইকবালকে জিজ্ঞাসাবাদ কররছেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারাও মনে করছেন, এ ঘটনাটি তৃতীয় কোনো পক্ষই ঘটিয়েছে। ইকবাল শুধু তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন।
কুমিল্লা মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত্য দাস টিটু কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি ঘটনার শুরু থেকেই বলে আসছি, যারা অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করে না, তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনার পেছনে তৃতীয় পক্ষের পরিকল্পনা রয়েছে।’
আহত দিলীপের মৃত্যু : নানুয়ার দীঘিরপাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় আহত দিলীপ দাসের (৬২) মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে মারা যান তিনি। দিলীপ দাস রাজগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বাসা কোতোয়ালি থানার সামনে। তিনি লন্ড্রির কাজ করতেন বলে জানা গেছে।
দিলীপের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে গতকাল সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, গত ১৩ অক্টোবর রাত দেড়টার দিকে তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ অক্টোবর তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। দিলীপের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ কুমিল্লায় পাঠানো হবে।
নিহতের ভাই অর্জুন কুমার দাস জানান, ঘটনার দিন নগরীর মনোহরপুর রাজেশ্বরী মন্দিরে পূজা দিতে যান দিলীপ। তখনই সেখানে হামলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *