নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: উত্তরের হিমেল হাওয়া জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। আর একারণেই ব্যস্ততাও বেড়েছে ‘বগুড়ার চাদর-কম্বল গ্রামে’। শীত এলেই বেড়ে যায় চাহিদা, তাই ব্যস্ত কম্বল ও চাদর তৈরির কারিগররা। পরিবারের ছোটবড় সবাই মিলে এখন তাঁতে ব্যস্ত। তবে উৎপাদন খরচ বাড়লেও তাদের তৈরি চাদর কম্বলের দাম বাড়েনি। এদিকে তাঁত পল্লীকে ঘিরে গড়ে ওঠা হাতে বোনা কম্বলের জন্য প্রসিদ্ধ দেশের বৃহৎ হাট ‘শাঁওইলের হাট’ জমে উঠেছে। গোটা দেশ থেকে পাইকারি ক্রেতাদের ভিড় জমে এখানে।
তাঁতের খট খট শব্দ আর সুতার বুননে মিশে আছে বগুড়ার চাদর-কম্বল গ্রামের মানুষের স্বপ্ন। শাঁওইলসহ আশে পাশের গ্রামের মানুষরা আঁকড়ে আছেন তাদের আদি শিল্প। একটানা তাঁতের খট খট শব্দে মুখরিত গ্রামের পরিবেশ, আর নারী-পুরুষসহ নানা পেশার মানুষের কর্ম ব্যস্ততা।
বগুড়া জেলার আদমদীঘি ও দুপচাঁচিয়া উপজেলার অর্ধশত গ্রাম নিয়ে গড়ে ওঠা কম্বল পল্লীতে বছর জুড়েই শীতবস্ত্র তৈরি হলেও শীতকালে চাহিদা বেড়ে যায়। বিভিন্ন গার্মেন্টসের সোয়েটারের সুতা প্রক্রিয়া করে তাঁতে বুনিয়ে তৈরি হয় কম্বল, চাদর, মাফলার, বেডকভারসহ আনুষাঙ্গিক পণ্য।
শাঁওইলের হাটে দোকান রয়েছে ছোট বড় মিলে প্রায় ১৬শ। রবি ও বুধবার হাটবার হলেও শীতকালে এই হাট বসে প্রতিদিনই ভোর থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত।
শাঁওইলের তৈরি কম্বল ও চাদর দেশের সীমা ছাড়িয়ে রপ্তানি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। কম্বল ও চাদরের কদর বাড়তে শুরু করেছে দেশ-বিদেশে।
উৎপাদন খরচ বাড়লেও চাদর-কম্বলের দাম না বাড়ায় ব্যাংক ঋণসহ সরকারি সুযোগ সুবিধার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণের বিষয়ে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় বিসিক কর্মকর্তা।
তাঁত শিল্পীদের পর্যাপ্ত মূলধনের জোগান, বাজারজাতকরণ এবং কাঁচামাল সরবরাহসহ তাঁতিদের সরকারি সুবিধা বাড়াতে পারলে গ্রামটি হতো দৃষ্টান্তমূলক রপ্তানির ক্ষেত্র, অভিমত সংশ্লিষ্টদের।