নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আগামীকাল থেকে করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ ডা. মোহাম্মদ মুর্তজা মেডিকেল সেন্টারে বিশেষ অস্থায়ী ক্যাম্পে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।
জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মাহমুদ আলমের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামীকাল সকাল সাড়ে ৯টায় টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। চলবে আগামী ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। ১ নভেম্বর থেকে দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে।
এতে আরও বলা হয়, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র কার্ড প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা অন-স্পট নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রথম ডোজের টিকা নিতে পারবেন। এনআইডি ছাড়া এই মুহূর্তে টিকা নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত টিকাকেন্দ্রে (ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল/বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়/সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল/শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট) নিবন্ধন করা সত্ত্বেও যারা এখনো টিকা গ্রহণ করতে পারেনি তারা এনআইডি, শিক্ষার্থীর আইডি কার্ড এবং টিকাকার্ড প্রদর্শন করে টিকা নিতে পারবেন।
এর বাইরে অন্য কোনো কেন্দ্রে নিবন্ধন করা থাকলে শিক্ষার্থীদের সেখানেই টিকা নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা যেন দ্রুততম সময়ে টিকা গ্রহণের এসএমএস পান জন্য তালিকা প্রস্তুত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সরবরাহ করবে ঢাবি প্রশাসন। ক্যাম্পে গিয়ে শিক্ষার্থীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
যেসব শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে ১ ডোজ টিকা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত টিকাকেন্দ্রে নিয়েছেন, এসএমএস পেলে তারা একই টিকার (সিনোফার্ম) দ্বিতীয় ডোজ অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে গ্রহণ করতে পারবেন।
যেহেতু অন-স্পট নিবন্ধন করতে হলে অপেক্ষমান লাইনে থাকতে হবে, তাই টিকাকেন্দ্রে আসার আগেই সুরক্ষা ওয়েবসাইট বা অ্যাপ থেকে নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নিবন্ধন করার সময় জেলা: ঢাকা, উপজেলা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ওয়ার্ড-২১ এবং ‘যে কেন্দ্রে টিকা নিতে ইচ্ছুক’ পছন্দ তালিকায় যে কোনো কেন্দ্র বাছাই করতে হবে।
যাদের এনআইডি’তে পেশা হিসেবে ‘ছাত্র’ নির্বাচন করা নেই, তাদের টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য একটি তালিকা তৈরি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হবে। তাই ক্যাম্পে সংরক্ষিত তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
এ মাসে খুলছে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়