কাবুল বিমানবন্দর নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। এছাড়া রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ে কথা বলবেন দুই নেতা।
আফগানিস্তান ইস্যুকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের জন্য এই মুহূর্তে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন এরদোগান। কাবুল বিমানবন্দর পুনরায় চালু করতে ওয়াশিংটন ও দোহার সঙ্গে কাজ করছে আঙ্কারা।
চলতি বছরের শুরুতে রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম কেনা নিয়ে তুরস্কের ওপর বেজার হয় যুক্তরাষ্ট্র। এর জেরে বর্তমান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন তুরস্ককে ওই সময় ‘তথাকথিত মিত্র’ বলে আখ্যায়িত করেন।
কিন্তু গতমাসে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের মুহূর্তে যখন তালেবান কাবুল দখল করে নেয়, ব্লিনকেন তখন তুরস্ককে ‘গুরুত্বপূর্ণ এবং অতি মূল্যবান ন্যাটোমিত্র’ হিসেবে উল্লেখ করে টুইট করেন।
এর আগে গত জুনে ন্যাটো সম্মেলনে কাবুল বিমানবন্দর নিয়ে সরাসরি এরদোগানের সঙ্গে কথা বলেন বাইডেন। তুরস্ককে এয়ারপোর্টটির নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন থেকে শুরু করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পর্যন্ত যখন আঙ্কারার প্রতি ইতিবাচক মনোভব পোষণ করছে এমন মুহূর্তে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র সফরে রওনা দিয়েছেন এরদোগান। এ সফরেই বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে তার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে এরদোগানের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। ন্যাটো জোটভুক্ত দেশ দুটি দূরত্ব ঘোচাতে উভয়ের স্বার্থ জড়িত এমন কোনো বিষয় খুঁজে পাচ্ছিল না। আফগানিস্তান সেই সুযোগ করে দিয়েছে। কাবুল বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক তৈরির একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে তালেবান জানিয়েছে, বিদেশি সেনার হাতে তারা বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেবে না। যদিও কাতার তালেবানকে এ বিষয়ে রাজি করানোর জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তালেবান বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব তুরস্কের হাতে দিলে এরদোগানের জন্য সেটা আশীর্বাদ হিসেবে দেখা দিবে।
/জেড এইচ