আন্তর্জাতিক

কাবুলে নারী চাকরীজীবীদের ঘরে থাকার নির্দেশ

হামদুল্লাহ নোমানি জানান, নারীদের কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করছে না তালেবান।
বিবিসি বলছে, ক্ষমতা দখলের পর থেকেই নারীদের কর্মক্ষেত্রে যোগদান নিয়ে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে তালেবান। নারী পৌর কর্মচারীদের কাজে না গিয়ে ঘরে থাকার নির্দেশনা হলো সেসব বিধিনিষেধে নতুন সংযোজন।
মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পর গত মাসে দেশটি দখল করার পর তালেবান বলেছিল যে “ইসলামী আইনের কাঠামোর মধ্যে” নারীর অধিকারকে সম্মান করা হবে। কিন্তু তালেবান ইসলামের আইনি ব্যবস্থা, শরিয়া আইনের কঠোর ব্যাখ্যার পক্ষে। ক্ষমতায় আসার পর থেকে কর্মরত মহিলাদের নিরাপত্তার অবস্থার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ঘরে থাকতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা করে তালেবান। তাদের মন্ত্রিসভায় কোনো নারী রাখা হয়নি। এর প্রতিবাদ জানিয়ে কাবুলসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করেন আফগান নারীরা। এ সময় নারীদের ওপর চড়াও হন তালেবান সদস্যরা।
এদিকে আফগানিস্তানের নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয় বন্ধ করে দিয়েছে তালেবান। এ মন্ত্রণালয়কে নীতিনৈতিকতা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বদল করছে তারা। একসময় এ মন্ত্রণালয় কট্টর ধর্মীয় মতাদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করেছিল। বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান সরকারের আমলে এ দফতর ছিল।
এই সপ্তাহান্তে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলি আবার খোলা হয়েছিল, তবে কেবলমাত্র ছেলে এবং পুরুষ শিক্ষকদেরই ক্লাসরুমে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া তালেবান বলেছে যে, তারা মেয়েদের স্কুল পুনরায় খোলার কাজ করছে।
কাবুল মেয়রের মতে, পৌরসভার ৩ হাজার কর্মচারীর মধ্যে এক তৃতীয়াংশ নারী। তিনি বলেন, কেউ কেউ কাজ চালিয়ে যাবে। উদাহরণস্বরূপ- নারীরা শহরের টয়লেটে কাজ করতে পারবে যেখানে পুরুষরা যেতে পারবে না।

/জেড এইচ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *