স্বাস্থ্য

কানাডায় ৫-১১ বছর বয়সীদের টিকা দিতে আবেদন করেছে ফাইজার

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: কানাডায় ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকা দেওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে ফাইজার-বায়োএনটেক।

ফাইজার-বায়োএনটেক ও কানাডা সরকারের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এসব তথ্য জানিয়েছে। গতকাল সোমবার দেশটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা হেলথ কানাডার কাছে আবেদনটি জমা দেয় ফাইজার-বায়োএনটেক।

ফাইজার-বায়োএনটেকের কাছ থেকে আবেদন পাওয়ার বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে হেলথ কানাডা। এতে বলা হয়, ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকাদানের অনুমোদন চেয়ে করা একটি আবেদন পেয়েছে হেলথ কানাডা। এই প্রথম হেলথ কানাডার কাছে এমন আবেদন জমা পড়ল।

কানাডায় ইতিমধ্যে ১২ বছর ও তার বেশি বয়সী শিশুদের করোনার টিকা দেওয়ার অনুমতি পেয়েছে ফাইজার-বায়োএনটেক। এখন প্রতিষ্ঠান দুটি কানাডায় ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকা দেওয়ার অনুমতি চাইল।

সম্প্রতি কানাডায় ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী ২ হাজার ২৬৮ জন শিশুর ওপর ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকার পরীক্ষা (ট্রায়াল) চালানো হয়। এ ক্ষেত্রে প্রতি ইনজেকশনে ডোজের পরিমাণ ছিল ১০ মাইক্রোগ্রামেরও কম। এটি পূর্ণাঙ্গ ডোজের পরিমাণের চেয়ে তিন গুণ কম।

ফাইজার-বায়োএনটেক বলছে, ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে ১০ মাইক্রোগ্রামের চেয়ে কম ডোজকে তারা যথাযথ মনে করছে।

পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফলের ভিত্তিতেই কানাডায় ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকা দিতে চাইছে ফাইজার-বায়োএনটেক। এ জন্যই তারা দেশটির নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে এ টিকার অনুমোদন চেয়ে আবেদন করে।

হেলথ কানাডা বলছে, ফাইজার-বায়োএনটেক টিকার যেসব তথ্য–উপাত্ত (ডেটা) জমা দিয়েছে, সেগুলো স্বতন্ত্র ও বৈজ্ঞানিক উপায়ে পর্যালোচনা করা হবে। পর্যালোচনায় যদি দেখা যায়, টিকা প্রয়োগের ফলে ঝুঁকির চেয়ে উপকারিতা বেশি, তাহলেই কেবল ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে এ টিকা প্রদানের অনুমতি দেওয়া হবে।

কানাডার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, করোনার টিকা উৎপাদনকারী অন্য কোম্পানিগুলোও বিভিন্ন বয়সী শিশুদের ওপর নিজেদের টিকার পরীক্ষা চালাচ্ছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রেও ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকা দেওয়ার জন্য একই ধরনের অনুরোধ জানায় ফাইজার-বায়োএনটেক।

অনেক দেশ ইতিমধ্যে ১২ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের টিকাদানের অনুমতি দিয়েছে। এর চেয়ে কম বয়সী শিশুদের জন্য করোনার টিকার অনুমোদন দেওয়া দেশের সংখ্যা হাতেগোনা।

সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে বলা হয়, ধনী দেশের শিশু-কিশোরদের করোনার টিকা দেওয়ার আগে দরিদ্র দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ইমিউনিটি তৈরি করা বেশি জরুরি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে কানাডায় ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকার প্রয়োগ শুরু হয়।

আরো পড়ুন:

কোভিডের প্রায় সব ভ্যারিয়েন্টেই কার্যকর বঙ্গভ্যাক্স : গ্লোব বায়োটেক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *