ডেস্ক প্রতিবেদন, ধূমকেতু বাংলা: বিশ্বের অন্যতম প্রখ্যাত প্রশাসক তথা রাষ্ট্রনায়ক জোসেফ স্তালিন। একজন সাম্যবাদী রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৯২৪ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত, প্রায় ২৯ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা ছিলেন। তিনিই সোভিয়েত ইউনিয়নের ইতিহাসে সব চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী নেতা।

শুধু সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতাই নন, স্তালিন সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক (১৯২২-১৯৫২) এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মন্ত্রীপরিষদের চেয়ারম্যানের (১৯৪১-১৯৫৩) দায়িত্বও পালন করেছিলেন। প্রথমদিকে সম্মিলিত নেতৃত্বের অংশ হিসেবে দেশ পরিচালনা করলেও পরবর্তী সময়ে, ১৯৩০- এর দশকে তিনি সমস্ত ক্ষমতা একার হাতে কুক্ষিগত করে সোভিয়েতে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেন।

স্তালিনের শাসনকালেই সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেয়। নাৎসি জার্মানির পরাজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করে। স্তালিনের নেতৃত্বে সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্বের অন্যতম শক্তিকেন্দ্রে পরিণত হয়। যে জয়যাত্রা ৪০ বছর পরে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের আগে পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।

স্তালিন সোভিয়েত ইউনিয়নে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত অর্থনীতি ব্যবস্থার প্রচলন করেন। তদানীন্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর ছিল। শিল্পায়ন ও কৃষিকার্যের যৌথীকরণের মাধ্যমে স্তালিন দেশটিকে অল্প সময়ের মধ্যে শিল্পোন্নত দেশে পরিণত করেন। তবে সেই সময়-পর্বে অর্থনৈতিক উত্থান-পতনের দরুন বহু মানুষ দুর্ভিক্ষে মারা যান।

১৯৩০-এর দশকে স্তালিন নিজের অবস্থান শক্ত করবার জন্য নিপীড়ন শুরু করেন। কমিউনিস্ট পার্টির বিদ্বেষী সন্দেহে বহু মানুষকে হত্যা করা হয়। সাইবেরিয়া ও মধ্য এশিয়ার শ্রমশিবিরেও নির্বাসিত করা হয় অসংখ্য মানুষকে। রাশিয়ার অনেক জাতিগোষ্ঠীকেই তাদের স্বভূমি থেকে উৎখাত করা হয়। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল স্তালিনের মূল্যায়ন করেছিলেন এই ভাবে–‘স্তালিনের ক্ষমতায় আসার সময় রাশিয়ার হাতে ছিল কাঠের লাঙল আর যাওয়ার সময় ছিল পারমাণবিক অস্ত্র।’

আরো পড়ুন:

২৩০০ বছর পর পাকিস্তানে আবিষ্কার হল বৌদ্ধ আমলের মন্দির!

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *