Uncategorized

কর্মচাঞ্চল্য ফিরছে শাহজালাল বিমানবন্দরে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: করোনা সংক্রমণ কমেছে। সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ধীরে ধীরে। তেমনি আগের মতো ব্যস্ততাও বাড়ছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। মহামারি করোনার কারণে আগে সীমিত সংখ্যক ফ্লাইট চলাচল করলেও বর্তমানে বিভিন্ন দেশ থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার ও শিথিল করার কারণে বিমানবন্দরে যাত্রীদের ভিড় বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে কর্মচাঞ্চল্য ফিরছে বিমানবন্দরে।

গত ২৪ ঘণ্টায় শাহজালালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সর্বমোট ৪০টি ফ্লাইটে সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি যাত্রী দেশে ফিরেছেন। দেশ থেকে বিভিন্ন দেশে যাওয়া যাত্রী ও ফ্লাইটের সঠিক সংখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে জানা না গেলেও এ সংখ্যা আগত যাত্রী সংখ্যার চেয়ে কম হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হেলথ ডেস্ক সূত্রে জানা গেছে, করোনাকালে অর্থাৎ ২০২০ সাল ও চলতি বছরের ৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ১২১ জন দেশে ফেরেন। এক সময় করোনার কারণে আগত সব যাত্রীকে বাধ্যতামূলকভাবে সময়ভেদে এক থেকে দুই সপ্তাহ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হলেও বর্তমান সে সংখ্যা কমে এসেছে।

নির্ভরযোগ্য দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসীকর্মীসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানোর সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। একদিকে বিশ্বব্যাপী করোনার সংক্রমণ আগের তুলনায় বহুলাংশে হ্রাস পাওয়া অন্যদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার টিকা প্রদানের ফলে বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের মধ্যে হাতেগোনা স্বল্পসংখ্যক ছাড়া বাকিদের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে।

সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৪০টি ফ্লাইটে ছয় হাজার ৭৩১ জন দেশে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে মাত্র ১৮ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে এবং অবশিষ্ট ৬ হাজার ৭১৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্বরত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্বব্যাপী করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের সময়ে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের অধিকাংশকেই বিমানবন্দরে নামার পরপরই নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হতো। সেখানে নির্দিষ্ট সময় থাকার পর করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হলে তবেই বাড়ি যেতে দেওয়া হতো।

কিন্তু বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা প্রতিষেধক টিকা প্রদানের ফলে সংক্রমণ কমে এসেছে। ফলে বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টানের চেয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনের যাত্রী সংখ্যাই বেশি বলে জানান তারা।

নির্ভরযোগ্য দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, মহামারি করোনাকালের শুরু থেকে গতকাল ৮ অক্টোবর পর্যন্ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ১২১ জন প্রবাসীকর্মী ও যাত্রী দেশে ফেরেন। তাদের মধ্যে ১৭ লাখ ৯৮ হাজার ৮১৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে ও ৮৬ হাজার ৩০৭ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।

আরো পড়ুন:

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *