খাদ্য-পুষ্টি

করোনা সংক্রমণ রুখতে পারে তিল ও তিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: তিল এবং তিসিকে সুপারফুড বলা হয়। এই দুই বীজ আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। বেশিরভাগ মানুষই তিলের-তিসির নাড়ু খেতে পছন্দ করেন কিন্তু তিল-তিসির যে এত গুণ থাকতে পারে তা জনালে সত্যি সত্যি অবাক হতে হয়।

তিলে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টি রয়েছে যা ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ব্যবহৃত হয়। তিল ফাইটোস্টেরল সমৃদ্ধ, এটি এমন একটি উপাদান যা লিউকেমিয়া, একাধিক মেলোমা, কোলন ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার ইত্যাদির মতো মারাত্মক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে। বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যে অন্যান্য তেলের মতো তিলের তেল রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে দেয়।তিলের পাশাপাশি তিসিরও অজস্র উপকারিতা রয়েছে যা অনেকেরই অজানা।

তিসির মধ্যে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট ও ব্লাড ক্যান্সার ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম। তিল এবং তিসি থেকে নিঃসৃত তেলের ব্যবহার বহু প্রাচীন কাল থেকেই প্রচলিত।

সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে যে শরীরে করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতে পারে তিল ও তিসি। এর মধ্যে থাকা উপাদান সংক্রমণ রুখতে কার্যকরী। আইসিএমআরের জাতীয় পুষ্টি বিভাগের পৃথা ঘোষ এবং হীরালাল মজুমদার মেমোরিয়াল কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস. রেহান আহমেদের যৌথ গবেষণাটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জার্নাল ‘গ্লোবাল লিটারেচার অন করোনা ভাইরাস ডিজিজ’-এ প্রকাশিত হয়েছে।

যে গবেষণায় তাঁরা জানাচ্ছেন, তিলের মধ্যে রয়েছে সিসেমিন। যা শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে অত্যন্ত কার্যকরী। তাছাড়াও তিলের মধ্যে যে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, সেটা ভাইরাসের দ্বিস্তরীয় আবরণের বিনাশ ঘটাতে পারে। তিলের মধ্যে লিনোলেয়িক অ্যাসিড ও এরাকিডোনিক অ্যাসিড রয়েছে। এটিও সিসেমিনের মতোই ভাইরাস সংক্রমণকে রুখতে সাহায্য করে।

অন্যদিকে তিসির মধ্যে রয়েছে ওমেগা-৩ পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড। যার মধ্যে রয়েছে প্রোটেক্টিন। এটিই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের মূল উপাদান। পাশাপাশি ওমেগা-৩ পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে ভাইরাসের দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সাহায্য করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *