স্বাস্থ্য

করোনা : ভারতে কার্যকর ওষুধ উৎপাদন শুরু, প্রতি ট্যাবলেটের দাম ১০৩ রুপি

ধূমকেতু ডেস্ক: মৃদু থেকে মাঝারি উপসর্গের কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য ‘ফ্যাবি-ফ্লু’ নামে একটি ওষুধ বাজারে আনছে মুম্বাইয়ের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা গ্লেনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যালস। ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)-এর কাছ থেকে গতকালই ওষুধ তৈরি ও বিক্রির ছাড়পত্র পেয়েছে তারা।

‘ফ্যাবি-ফ্লু’ হলো ব্র্যান্ডের নাম। ওষুধটির জেনেরিক নাম হলো “ফ্যাভিপিরাভির”। এটি একটি অ্যান্টিভাইরাল। গ্লেনমার্ক জানিয়েছে, কোভিড রোগীরা খেতে পারেন, ফ্যাভিপিরাভির-সমৃদ্ধ এমন কোনও ওষুধ এই প্রথম আসতে চলেছে ভারতের বাজারে। হিমাচলে গ্লেনমার্কের কারখানায় সেই ওষুধ তৈরি হচ্ছে। হাসপাতালের পাশাপাশি খুচরো দোকানেও তা মিলবে। তবে প্রস্তুতকারী সংস্থা জানিয়েছে, ওষুধটি প্রেসক্রিপশনে লেখা হলে তবেই পাওয়া যাবে। ওষুধ প্রয়োগে দায়িত্বশীলতা প্রয়োজন। এই ওষুধ দিতে হলে রোগীর লিখিত অনুমতিও লাগবে।

২০০ মিলিগ্রামের একটি ‘ফ্যাবি-ফ্লু’ ট্যাবলেটের দাম পড়বে ভারতীয় মুদ্রায় ১০৩ টাকা। এমন ৩৪টি ট্যাবলেটের একটি পাতার দাম হবে ৩,৫০০ টাকা। প্রথম দিনে ১৮০০ মিলিগ্রাম দিনে দু’বার, তার পরে ১৪ দিন পর্যন্ত ৮০০ মিলিগ্রাম দিনে দু’বার— এই ভাবে ওষুধটি দিতে হবে। গ্লেনমার্কের দাবি, মৃদু ও মাঝারি উপসর্গের করোনা রোগীদের ডায়াবেটিস বা হৃদরোগের মতো কো-মর্বিডিটি থাকলেও এই ওষুধ নিতে পারবেন তাঁরা। চার দিনের মধ্যেই ভাইরাসের সংক্রমণ কমে গিয়ে চোখে পড়ার মতো উন্নতি হবে। এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে ওষুধটির কার্যকারিতা ৮৮% পর্যন্ত প্রমাণিত হয়েছে।

২০১৪ থেকেই জাপানে ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসায় ফ্যাভিপিরাভির ব্যবহার হচ্ছিল। গ্লেনমার্কও সম্প্রতি বলেছিল, ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা চলছে। আজ সংস্থাটি জানিয়েছে, বর্তমান জরুরি পরিস্থিতিতে পদ্ধতিগত বিষয়গুলি দ্রুত মিটিয়ে ওষুধটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। গ্লেনমার্কের চেয়ারম্যান ও এমডি গ্লেন সালডানহা বলেছেন, ‘‘দেশে রোগীর সংখ্যা অভূতপূর্বভাবে বাড়ছে। ওষুধটি যাতে সমস্ত রোগীর কাছে সহজলভ্য হয়, তা নিশ্চিত করতে সরকার ও চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আমরা কাজ করব।”

সংস্থার আর এক কর্মকর্তা সুযেশ বাসুদেবন বলেন, ‘‘সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের বিরুদ্ধে ওষুধটির কার্যকারিতা প্রমাণিত। যে ডোজ় স্থির করা হয়েছে, তা নিরাপদ। মৌখিক ওষুধ হওয়ায় এতে হাসপাতালের উপরেও চাপ কমবে।’’

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *