স্বাস্থ্য

করোনা টিকার দুই ডোজের ব্যবধান ১৬ সপ্তাহ করার চিন্তা-ভাবনা

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: প্রথম ডোজের ১৬ সপ্তাহ পর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার কথা ভাবছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ব্যাপারে বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, “টিকা প্রয়োগ ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে দুই ডোজের মধ্যকার সময় বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে।” সরকারি কর্মকর্তারা মনে করছেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যকার সময় যদি ১৬ সপ্তাহ করা সম্ভব হয়, তাহলে বাড়তি সময় পাওয়া যাবে। এই সময়ের মধ্যে টিকার জোগাড়ও হয়ে যেতে পারে।

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ১৮ মে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্যরা বলেন, “প্রথম ডোজের ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের ভেতরে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেয়া যায়। কোনো কোনো দেশ প্রথম ডোজের ১৬ সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ করছে।”

বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকা দেয়া হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, “প্রথম ডোজ দেয়ার ১২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দিলে এই টিকা বেশি কার্যকর হবে। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা অবশ্য অনেকটা নিজেদের কাজের সুবিধার জন্য দুই ডোজের মধ্যকার সময় নির্ধারণ করেছেন এবং একাধিকবার তা পরিবর্তনও করেছেন।”

আরোও পড়ুন: কালো ছত্রাক প্রতিরোধে ভিটামিন ‘সি’ সবচেয়ে কার্যকর: ড. বিজন কুমার শীল

দেশে গণটিকাদান শুরু হয় ৭ ফেব্রুয়ারি। এর আগের দিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছিল, “দুই ডোজের মধ্যকার সময়ের ব্যবধান হবে চার সপ্তাহ।” কিন্তু কয়েক দিন পরই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলে, দ্বিতীয় ডোজ আট সপ্তাহ পরে। তবে টিকার মজুত শেষ পর্যায়ে চলে আসা এবং শিগগিরই নতুন করে টিকা আনার সম্ভাবনা কম থাকায় দুই ডোজের মধ্যকার সময় বাড়ানোর কথা ভাবছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সময় বাড়ানোর পক্ষে বৈজ্ঞানিক তথ্যও জোগাড় করার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও অধিদপ্তরের টিকাবিষয়ক কমিটির প্রধান মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, “ভারত ও ইউরোপের দু-একটি দেশে ১৬ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার সিদ্ধান্ত আছে। আমরা এখনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করিনি। ন্যাশনাল ইম্যুনাইজেশন টেকনিক্যাল এক্সপার্ট গ্রুপের পরামর্শ চেয়েছি। অন্য দেশের অভিজ্ঞতাও জানার চেষ্টা করছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *