নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: করোনার প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয় দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার জন্য। কিন্তু চলমান লকডাউনের কারণে টিকার প্রথম ডোজ নেবার পর অনেকেই পড়েছেন নানা বিপত্তিতে। কেউ ঢাকার বাইরে আবার কেউ বাইরে থেকে ঢাকায় আসার কারণে তারা দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে পড়েছেন জটিলতায়।
এতদিন টিকা কেন্দ্র পরিবর্তনের সুযোগ নেই বলে জানানো হলেও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সে সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এসেছে। বৃহস্পতিবার ( ২৯ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
অধিদফতর জানিয়েছে, “যারা ঢাকার বাইরে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন তারা রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের পাঁচটি ভ্যাকসিনেশন সেন্টার থেকে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন। এ পাঁচটি হাসপাতাল হলো- কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি ( কিডনি হাসপাতাল), জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউট, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এবং মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (সদর উপজেলা ছাড়া) ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করা যাবে।”
আরোও পড়ুন: করোনা টিকার দুটি ডোজ নিলে বয়স্কদের হাসপাতালে ভর্তির সম্ভাবনা কম: গবেষণা
ডা. মো. শামসুল হক জানান, “দেশে চলমান বিধিনিষেধের আগে স্থান পরিবর্তন করেছেন বা প্রথম ডোজ নেয়ার পর স্থান পরিবর্তন করেছেন তাদের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।”
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বর্তমান সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, “যারা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন এক কেন্দ্র থেকে তারা অন্য কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন নিতে পারবে না। কিন্তু যারা দেশে চলমান বিধিনিষেধের আগে স্থান পরিবর্তন করেছেন বা প্রথম ডোজ নেয়ার পরে স্থান পরিবর্তন করেছেন তাদের জন্য ভেবে একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।”
“আর এজন্য ঢাকার বাইরে থেকে এসে কেউ যদি ঢাকায় আটকে যান এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে চান তবে তারা ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের উল্লেখিত পাঁচটি হাসপাতালে টিকা নিতে পারবেন।”
“একইভাবে অন্যান্য জেলাতেও যারা বাইরে থেকে গেছে তারা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন সেখানের জেলা সদর হাসপাতালে কিংবা বিভাগীয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও।”
“একই সঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ভ্যাকসিন নিতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে তাদেরই এই সুবিধা দেওয়া হবে যারা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার পরে স্থান পরিবর্তন করতে হয়েছে।”
তবে ঢাকায় থেকে ঢাকার ভেতরে কেন্দ্র পরিবর্তনের সুযোগ নেই জানিয়ে ডা. শামসুল হক বলেন, “তবে একই জেলা বা সিটি কর্পোরেশনের ভেতরে কেন্দ্র পরিবর্তন করা যাবে না। যেমন ঢাকার ভেতরে থেকে এক কেন্দ্র থেকে আরেক কেন্দ্রে টিকা নেবার সুযোগ নেই। শুধুমাত্র যারা প্রথম ডোজ নেওয়ার পরে স্থান পরিবর্তনের কারণে বিপাকে পড়েছেন তাদের জন্যেই এই সিদ্ধান্ত“, বলেন তিনি।