নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: করোনা মহামারির কারণে ১৭ মাস বন্ধ শিক্ষাব্যবস্থা। শ্রেণি কার্যক্রম ছিল না। এ কারণে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে। অনেক শিক্ষার্থীর ঝরে পড়ার আশঙ্কাও করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে সরকারি তথ্য বলছে, করোনায় সাক্ষরতার হার বেড়েছে। গত এক বছরে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মাঠ পর্যায়ে কোনো কার্যক্রম না থাকলেও বেড়েছে সাক্ষরতার হার।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যানুযায়ী, ২০১৯ সালের হিসাবে দেশে গড় সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিবিএসের ২০২০ সালের তথ্যানুযায়ী দেশে এখন সাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশ। ফলে করোনার মধ্যেও গত এক বছরে কোনো কার্যক্রম না থাকলেও সাক্ষরতার হার বেড়েছে দশমিক ৯০ শতাংশ। তবে এ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন সাক্ষরতা উন্নয়নের যে ভূমিকা রেখেছেন তা তুলে ধরেন। তিনি মনে করেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য সবার আগে প্রয়োজন সাক্ষরতাজ্ঞান।

এদিকে, আজ বুধবার পালিত হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২১’। এবারের প্রতিপাদ্য ‘মানবকেন্দ্রিক পুনরুদ্ধারের জন্য সাক্ষরতা : ডিজিটাল বিভাজন কমিয়ে আনা’। সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে দেশের বিশাল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে যথাযথ শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করে বাংলাদেশকে উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এক যোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নিরক্ষর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সাক্ষরতা ও জীবনমুখী দক্ষতা বৃদ্ধিতে বহুমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *