স্বাস্থ্য

করোনার প্রথম ডোজ টিকা আপাতত বন্ধ থাকবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম:  “আগামীকাল সোমবার ( ২৬ এপ্রিল ) থেকে দেশে প্রথম ডোজের টিকাদান বন্ধ থাকবে” বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। রবিবার ( ২৫ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশমতে, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো: শামসুল হকের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

“বেশ কয়েকদিন ধরেই আলোচনা হচ্ছিলো যে হারে টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে, তাতে মজুদ টিকা যেকোনো সময় শেষ হয়ে যেতে পারে। এদিকে, সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া থেকে কেনা টিকার পরের চালান কবে আসবে তা অনিশ্চিত।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, “৭ ফেব্রুয়ারি গণটিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর ২২ এপ্রিল পর্যন্ত ৭৭ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬১ জন টিকা নিয়েছেন।”

ভারত থেকে এ পর্যন্ত ১ কোটি ২ লাখ ডোজ টিকা এসেছে। সে হিসাবে এখন মজুদ আছে ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩৯ ডোজ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেছেন, “এখন যে টিকা আছে তাতে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত দেওয়া যাবে। এরই মধ্যে নতুন টিকা আনার বিষয়ে একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে।”

“দৈনিক গড়ে টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ৪৯৫ জন। সে হিসেবে মজুদ ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩৯ ডোজ টিকা সাড়ে ১৩ দিনেই শেষ হয়ে যেতে পারে।”

সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে গত বছরের নভেম্বরে চুক্তি করে বাংলাদেশ। ওই টিকা সরবরাহের দায়িত্বে আছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।

চুক্তি অনুযায়ী, “প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। জানুয়ারিতে ৫০ লাখ ডোজ দেশে এলেও বিপুল চাহিদা আর বিশ্বজুড়ে টিকার সঙ্কটের মধ্যে ফেব্রুয়ারির চালানে বাংলাদেশ ২০ লাখ ডোজ হাতে পায়। এরপর আর কেনা টিকা আসেনি।”

“এর বাইরে ভারত সরকার দুই দফায় উপহার হিসেবে দিয়েছে মোট ৩২ লাখ ডোজ, সেগুলোও সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা, যার মধ্যে ১২ লাখ ডোজ এসেছে গত ২৬ শে মার্চ।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *