ডেস্ক প্রতিবেদন, ধূমকেতু বাংলা: অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য একটি নাকের স্প্রের পরীক্ষা চালাচ্ছেন। এই নাকের স্প্রেতে স্বল্পমূল্যের ওষুধ হেপারিন ব্যবহার করা হয়েছে। এই ওষুধের লক্ষ্য হলো কোভিডের স্পাইক প্রোটিনকে নিষ্ক্রিয় করা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
গবেষকরা বলছেন, যখন করোনায় আক্রান্ত কোনও মানুষের নাকে এটি স্প্রে করা হয় তখন ওই ব্যক্তি সংক্রমিত নন বলে দেখা যায়।
২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ের আগে এই ট্রায়াল শেষ হবে না। যদি কার্যকর হয় তাহলে টিকা ও অন্যান্য ওষুধের পাশাপাশি এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
গবেষকদের আশা, এই স্প্রে প্রাথমিক সংক্রমণ ঠেকানো এবং ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে নাকে মাস্ক হিসেবে কাজ করতে পারে।
প্রধান গবেষক অধ্যাপক ডন ক্যাম্পবেল বলেন, এটি যে কোনও স্থানে ব্যবহার করা যাবে। এমনকি জনবহুল পরিস্থিতিতেও।
বিশ্বে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একাধিক নাকের স্প্রের পরীক্ষা চলমান রয়েছে। তবে এই প্রথম এমন কিছুর জন্য হেপারিন ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। রক্ত জমাটের রোগীদের এই ওষুধ দেওয়া হয়।
গবেষকরা বলছেন, যখন হেপারিন নিশ্বাসে নেওয়া হয় তখন তা রক্তে মিশে যায় না। এটি নাকেই থেকে যায়। ভাইরাস মানুষের কোষে প্রবেশের আগে বাধা দেয়।
এই ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীরা দিনে তিনবার করে দুটি চাপ স্প্রে গ্রহণ করবেন। তারপর পরীক্ষা করা হবে আক্রান্ত থেকে আক্রান্ত নন এমন কারও দেহে তা ছড়িয়েছে কিনা। যদি কার্যকর বলে প্রমাণিত হয় তাহলে আরও বিস্তৃত মানুষের মধ্যে পরীক্ষা চালানো হবে।
আরো পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদন দিল ফাইজারের মুখে খাওয়ার ওষুধ