অভিমত

করোনার কাজ করোনা করছে মারছে বুকে ঠাস, আবদ্ধ ছাড়া নাইকো মোদের বাঁচার কোনো আশ

খোকন কুমার রায়:

আমাদের মৃত্যুর মিছিলটা ক্রমেই বড় হচ্ছে। নেই ধনী-দরিদ্রের বাছ-বিচার। কাজেই, সাবধান। ইতিমধ্যে আমরা দেখেছি যে, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ডের মতো কিছু দেশ এই ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে অনেকটা সফল হয়েছে। কারণ ঐ সব দেশের নাগরিকরা স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মেনে চলেছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন ছাড়া খুব বেশি যাতায়াত করেননি। এ কারণে মৃত্যুর হারও কম।

আর আমাদের আর্থ-সামাজিক বাস্তবতায় চাইলেও সর্বদা ঘরে বন্দী থাকার উপায় নেই। জীবন ও জীবিকার তাগিদে ঘর হতে বের হতে হচ্ছে। কিন্তু অনেক মানুষ মনে হয় এখনো অন্ধকারে রয়েছেন এবং খুব বেশি সচেতন হননি।

আরও পড়ুন: প্রীতি ও প্রেমে সম্প্রীতির বন্ধনে যখন মিলি পরস্পরে, করোনা কাঁদিয়া কয় পালিয়ে বাঁচি, ছাড় আমারে

ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাবার জন্য বাস স্ট্যান্ড, লঞ্চ ঘাটে ভীড় দেখেছি এবং অনেকেই মালবাহী ট্রাকে চড়ে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন, কেউ বা ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত।

যা হোক, মানুষ বোধ হয় এখনো বুঝতে পারেননি, বাড়ি যাওয়া বা ঈদের কেনাকাটা করা, তার নিজের ও আত্মীয়-পরিজন এবং অন্যান্যদের জীবনের জন্য কতটা ঝুঁকিপূর্ণ। সমগ্র দুনিয়া জুড়ে লাশের পাহাড় ক্রমেই বড় হচ্ছে। কাজেই বেঁচে থাকলে আমরা ভবিষ্যতে অনেক আনন্দের সঙ্গে ঈদ করতে পারবো এবং ঈদের জন্য সব কেনাকাটাও করতে পারবো। কিন্তু এই মহামারীর সময়ে যতদূর সম্ভব আমরা আপাতত অপ্রয়োজনীয় কাজ হতে বিরত থাকি এবং অতি প্রয়োজনীয় কাজগুলোর জন্য বাইরে যাই নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

বেশ কিছু ওষুধ ইতিমধ্যে আবিষ্কৃত হয়েছে এবং প্রয়োগ হচ্ছে, আরো কার্যকরী ওষুধ শীঘ্রই চলে আসবে আশা করছি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ওষুধ ও টিকা আসলেও করোনা প্রতিরোধ করাটাই আমাদের জন্য উত্তম।

কাজেই আসুন, নিজেদের সংক্রমণের ঝুঁকি কমাই, সুস্থ থাকি, নিরাপদে থাকি। সকলের জন্য শুভ কামনা।

ঈদ মোবারক!

লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক, ধূমকেতু.কম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *