নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া দুই হাজার অসহায় ও দুঃস্থ মানুষকে খাদ্যসামগ্রী ও করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি। আজ রবিবার দুপুরে ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এর উদ্বোধন করেন।
“খাদ্য সামগ্রীর মাঝে ছিল উন্নত মানের মিনিকেট চাল ৫ কেজি, মুশুরি ডাল ১ কেজি, সোয়াবিন তেল ১ লিটার, পিয়াজ ১ কেজি, আলু ৩ কেজি, লবণ ১ কেজি এবং ছোলা ১ কেজি। এছাড়াও হ্যান্ড স্যানিটাইজার, উন্নত মানের মাস্ক, সার্জিক্যাল মাস্ক বিতরণ করা হয়।”
ধানমন্ডির দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সঞ্চালনায় এবং ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির চেয়ারম্যান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব একেএম রহমতুল্লাহ এমপির সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবীর নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, কাযনির্বাহী সদস্য সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, উপ-কমিটির সদস্য আখলাকুর রহমান মাইনু, ডা. হেদায়াতুল ইসলাম বাদল, হারুন অর রশীদ, মিজানুর রহমান, আমিনুর রশীদ দুলাল, মাহবুব রশীদ, আকাশ জয়ন্ত গোপ, বেলাল মোহাম্মদ নুরী, ইদ্রিছ আহমেদ মল্লিক, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কাশেম সীমান্ত, সাইফুল ইসলাম সাইফ প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সুরাইয়া আকতার, সাধারণ সম্পাদক কাজী রহিমা আক্তার সাথী, বাংলাদেশ আওয়ামী মটর চালক লীগের সভাপতি আলী হোসেন, বাস্তুহারা লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার লুৎফর রহমান, জাতীয় দাফন কাফন কমিটির মিনু, জাতীয় মহাশ্মশান কমিটির চিত্তরঞ্জন দাস, আমরা ঢাকাবাসীর শুকর সালেকের হাতে এসব খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন।
এছাড়াও বরিশাল বিভাগে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় বরগুনা জেলার জন্য ২ হাজার ওর স্যালাইন ও ২০০ পুস স্যালাইন এবং বরিশাল বিভাগের অন্যান্য জেলার জন্য ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের কাছে ৭ হাজার ওর-স্যালাইন ও ৫০০ পুস স্যালাইন বিতরণ করা হয়।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দ যে কোনো দুযোর্গে জনগণের পাশে থাকার ঘোষণা দেন। ত্রাণ কমিটির নেতারা জানান, “করোনা পরিস্থিতি যতদিন স্বাভাবিক না হবে ততদিন তারা গরীব-অসহায় মানুষের পাশে খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নিয়ে পাশে থাকবেন।”
