করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে মৃত্যু ও নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় মারা গেছেন সাড়ে ৪ হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে তিন লাখ।
ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ হাজার ৫৪৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে ৮ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৮ লাখ ৭২ হাজার ৩৩১ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৯ হাজার ৬১ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১০ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ কোটি ৯০ লাখ ১ হাজার ৬৭৭ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ে দেশটিতে  আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ হাজার ৫৮৭ জন এবং মারা গেছেন ৩৫০ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৫ হাজার ৬৯০ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৫৩৫ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৯৫৭ জন এবং সংক্রমিত হয়েছেন ২৯ হাজার ৪০৯ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭৮ লাখ ৪ হাজার ৭৭৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৭২ জনের।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ২১৯ জন এবং সংক্রমিত হয়েছেন ৬ হাজার ৯১৮ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে শনাক্ত ২ কোটি ১৫ লাখ ৮২ হাজার ৭৩৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ১ হাজার ২৬৬ জনের।
এদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে মৃতের সংখ্যায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১৭৭ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ১৮৬ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৩৯ লাখ ৮৪ হাজার ৪৭৯ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৫০ হাজার ৯৯১ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *