স্বাস্থ্য

করোনাকালে শিশুর যত্নে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ

স্বাস্থ্য প্রতিবেদক: আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না শিশুরাও। এই ভাইরাসে অনেক শিশু আক্রান্ত হচ্ছে। তাই করোনার এই ক্রান্তিকালে শিশুদের যত্ন ও পরিচর্যা করা আমাদের একান্ত দরকার। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আসুন জেনে নিই পরামর্শগুলো।

শিশু সন্তানের যত্ন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে নিজের ও শিশুসন্তানের জন্য উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা হওয়া স্বাভাবিক। নিজেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন কিংবা কর্মক্লান্তও লাগতে পারে। কিছু বিষয় অনুসরণ করলে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে।

ভাগাভাগি করে যত্ন নিন

* অন্যদের সঙ্গে পালাক্রমে শিশুর যত্ন নিন। নিজের জন্যও সময় বের করুন।

* শিশু সন্তানের সঙ্গে আপনিও ঘুমান। এতে আপনি শক্তি ফিরে পাবেন।

শিশুরা খেলার মাধ্যমে শেখে

* শিশুর পর্যায়ে নিজেকে নিয়ে যান। সে যেন আপনাকে দেখতে ও শুনতে পায়, সেটা নিশ্চিত করুন।

* তার সঙ্গে খেলুন, গানও গাইতে পারেন।

* দু’জনে একসঙ্গে বাদ্য বাজাতে পারেন। আপনাদের বাদ্যযন্ত্র হতে পারে কোনো জগ, মগ, গ্লাসের মতো কোনো পাত্র কিংবা অন্যকিছু।

* শিশুর খুব অল্প বয়স থেকেই একসঙ্গে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছবিতে কী ঘটছে, শিশুকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। শিশুকে তার সব ইন্দ্রিয় দিয়ে বইটি জানার সুযোগ দিন।

শিশুর সঙ্গে যোগাযোগ

* শিশুর সঙ্গে তার অঙ্গভঙ্গি নকল করে খেলায় মেতে উঠুন।

* তাদের উচ্চারিত শব্দ উচ্চারণ করুন।

* শিশুর সঙ্গে কথা বলার সময় তার নাম উচ্চারণ করুন।

* শিশু যে কাজটি করছে, ভাষায় তার বর্ণনা করে তাকে শোনান।

শিশুর সঙ্গে নম্র আচরণ করুন, নিজের সঙ্গেও নম্র থাকুন

* আজ একটা কিছু ঠিকভাবে হয়নি বলেই যে মেজাজ হারিয়ে বসতে হবে, তা কিন্তু নয়। মা-বাবা হিসেবে এমন আচরণ আপনার সঙ্গে যায় না। আজ যে কাজগুলো ভালোভাবে হয়েছে, সেগুলোরও কথা স্মরণ করুন।

শিশুর সঙ্গে শিখুন

* শিশুদের জন্য পরিবেশটা মজার করে তুলুন।

* শিশুরা উদ্দীপনায় সাড়া দেয়।

* শিশুকে পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে বিশ্বটাকে জানার সুযোগ দিন।

শিশু যখন কান্না করবে

* সঙ্গে সঙ্গে শিশুকে সাড়া দিন।

* শিশু কী কারণে কাঁদছে, তা অনুসন্ধান করুন।

* জড়িয়ে ধরলে কিংবা কোলে নিয়ে একটু দোলালেই শিশুরা শান্ত হয়ে আসে।

* গান গাইলে কিংবা নরম সুরের কোনো গান বাজালে শিশুরা শান্ত হয়।

* শান্ত থাকুন এবং সাময়িক বিরতি নিন। শিশু যদি বসতে না শিখে থাকে, তাহলে তাকে নিরাপদ জায়গায় পিঠে হেলান দিয়ে বসিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। প্রতি ৫ থেকে ১০ মিনিট পরপর খোঁজ রাখুন।

* আপনার শিশু যদি অসুস্থ বা আহত হয়ে থাকে, তাহলে স্বাস্থ্যসেবাদানকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করুন কিংবা নিকটবর্তী হাসপাতালে যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *