পতিতা আমি
খোকন কুমার রায়:
আমি এক পতিতা হোটেলেই কাটে রাত
রোজ রাতে গায়ে মাখি দুর্ভাগ্যের কষাঘাত
কেটেছিলো শৈশব আমার মুক্ত পাখির মত
কৈশোরে এসে ধরা দিলো যন্ত্রণা আছে যত
লোলুপ কত চোখ রোজ আমায় চেটে যায়
নিজেকে বাঁচানোর শক্তি ছিলো না হায়
দারিদ্র্যতার অভিশাপে জীবন ওষ্ঠাগত
হাজারও বেদনা সয়ে গেছি অবিরত
একদিন এক দালাল এসে কাজ দেবার ছলে
শহরে নিয়ে যায় আমায় সূক্ষ্ম কৌশলে
কি সে কাজ শহরে এসে বুঝলাম আমি শেষে
বদ্ধ ঘরে চললো আঘাত ভদ্রলোকের বেশে
ভদ্রবেশী হায়নারা খেলো আমায় ছিঁড়ে
প্রতিবাদে আরও আঘাত জুটলো শরীর জুড়ে
একটা সময় বুঝে গেলাম আর যে মুক্তি নাই
প্রাণ বাঁচাতে পেটের দায়ে শরীর বেচে যাই
দিন কেটে যায় ঘুমের ঘোরে রাত কাটে যন্ত্রণায়
ক্ষত ভরা অঙ্গ আমার হায়না চেটে খায়।
সভ্য সমাজ আমায় যেন দেখেও দেখে না
নোংরা পতিতার ডাক ঈশ্বরও শোনে না।
আরো পড়ুন: