কনস্টেবল পদে আসন্ন নিয়োগে কোনো ধরনের অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে কোনো পুলিশ সদস্যের জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তাকে তাৎক্ষণিক বরখাস্ত করা হবে।
পুলিশের অপরাধ পর্যালোচনা সভার (ক্রাইম কনফারেন্স) দ্বিতীয়দিন সোমবার আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
ক্যাডার কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
পুলিশ সদর দফতরে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ত্রৈমাসিক ক্রাইম কনফারেন্সের দ্বিতীয়দিনে উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, দ্বিতীয়দিনে নারী পাচার প্রতিরোধ, অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার রোধ, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল ও থানায় মামলার জট কমানোর বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়। মাঠ পর্যায়ে পুলিশের কর্মপদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা এবং থানাগুলোয় সেবার মান বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুজ্জামান জানান, অপারেশন্স উইংয়ের কার্যক্রম, বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট এবং ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের কার্যক্রম আলোচনায় প্রাধান্য পেয়েছে। পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে মূলতবি বিভাগীয় মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ, বাজেট ব্যবস্থাপনা, নতুন নিয়মে কনস্টেবল নিয়োগ এবং পুলিশের পদবিন্যাস ও পদ সৃষ্টির বিষয় নিয়ে অনেকে কথা বলেন।
এছাড়া গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনাসহ অন্য সব বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা। রোববার পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব ইন্টিগ্রিটিতে অপরাধ পর্যালোচনা সভা শুরু হয়।
আজ আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অপরাধ পর্যালোচনা সভা শেষ হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজিত সভায় পুলিশের সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলার পুলিশ সুপাররা অংশগ্রহণ করছেন।
সভায় সব অতিরিক্ত আইজি, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান এবং পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকছেন। প্রথমদিনের আলোচনায় কিশোর অপরাধের ভয়াবহতার কথা উঠে আসে।
চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ ও এপ্রিল-জুন এ দুই সময়ের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় উঠে আসে ডাকাতি, দস্যুতা, খুন, দ্রুত বিচার আইনে মামলা, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা, অপহরণ, সিঁধেল চুরি, দাঙ্গা, মাদক, অস্ত্র ও গাড়ি উদ্ধারের বিষয়।