অভিমত

কত ফুলের সমারোহ বড়ই সুন্দর, বাগানটা নষ্ট করে কয়েকটা বান্দর

খোকন কুমার রায়:

অতীত হতে এমনটাই দেখে আসছি। কালে-কালে, দলে-দলে এই শ্রেণীটা ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে মনে হয়, আলামত সেই রকমই। এরা ভালো কাজ ও বিশাল অর্জনগুলোকে ম্লান করে দেয়। এরা অতি উৎসাহী কিছু বিকৃত মানুষ। উন্নয়নে, অগ্রযাত্রায়, বিপদে, বিপর্যয়ে, উৎসবে-পার্বণে, রাজনীতি ও ধর্মীয় কার্যক্রমে এদের কিছু বিকৃত ও অসুস্থ কার্যকলাপ আমরা দেখতে পাই।

অতি উৎসাহী এই বিকৃত শ্রেণীটা সমাজ ও সভ্যতার শত্রু। এরা ভালো কিছু মুহূর্তেই নষ্ট করে দিতে পটু। এরা ভালো উদ্যোগগুলোকেও পণ্ড করার পণ্ডিত। এরা অবশ্য সার্কাসের জোকারের মতো সস্তা বিনোদনের বড় জোগানদাতা। বর্তমান করোনা আতঙ্কের মধ্যেও এদের কার্যকলাপে আমরা একটু প্রাণ খুলে হাসতে পারি। এই হলো এদের অর্জন। আর এদের জন্য বিসর্জন দিতে হয় আমাদের রাজনৈতিক সুনাম ও সম্মান।

এই মানুষগুলো গ্রামে-গঞ্জে, শহরে-বন্দরে, ক্ষমতায়-অক্ষমতায়, রাজনীতি-দুর্নীতি – সবখানেই বিচরণ করে এবং অদ্ভূত অদ্ভূত কিছু কাজ ও কথা বলে আমাদেরকে বিপদে ফেলে। এরা রাজঅন্ধ (রাজনৈতিক অন্ধ), ধর্মান্ধ, কুনাগরিক ও কুমন্ত্রণাদাতা। আমরা সকলেই কম-বেশি পরিচিত এই শ্রেণীটার সাথে।

অতএব, এদেরকে বয়কট করা ও এদের থেকে নিরাপদ সামাজিক দূরত্বে থাকা আমাদের সুস্থতার জন্য অতীব জরুরী।

এক মণ দুধকে নষ্ট করে দিতে পারে এক ফোটা চেনা, তেমনি একটি সাজানো ফুল বাগানকে নষ্ট করে দেয়ার জন্য দু-চারটি বানরই যথেষ্ট। সে রকমভাবেই এরা ভালো কাজ ও উদ্যোগগুলোকে মুহূর্তেই ম্লান করে দিতে পারে।

আর আমরা পাবলিক তো আছিই, একটা কিছু পাইলে তো সহজে ছাড়ি না। কারণ এখন আমাদের আছে ফেসবুক, ইউটিউব ইত্যাদি, ইত্যাদি।

লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক, ধূমকেতু.কম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *