গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর (ডিআরসি) কঙ্গো নদীতে নৌযানডুবিতে অন্তত ১২০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় মঙ্গালা প্রদেশে ঘটেছে এই ঘটনা।
মঙ্গালা প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র নেস্তর মাগবাদো বার্তাসংস্থা এএফপিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন শনিবার।
মাগবাদো বলেন, ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌযানটি গত মঙ্গলবার মধ্যরাতের দিকে ডুবে যায়। নৌযানটিতে সে সময় যাত্রী ছিলেন ১৫৯ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে জীবিত আছেন ৩৯ জন।
বাকি ১২০ জনের মধ্যে ৫১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে এবং ৬৯ জন এখন পর্যন্ত নিখোঁজ আছেন।
এএফপিকে মাগবাদো বলেন, ‘বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- ডুবে যাওয়া নৌযানটি ছিল কাঠের তৈরি একটি ইঞ্জিনচালিত পুরনো নড়বড়ে ধরনের নৌযান। বৈরী আবহাওয়া এবং ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহনের জন্যই এটি ডুবেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’
আফ্রিকার খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদ সমৃদ্ধ দেশ কঙ্গোতে নৌদুর্ঘটনা বেশ নিয়মিত একটি ব্যাপার। নৌযানগুলোর অতিরিক্ত যাত্রীবহনের প্রবণতার কারণেই ঘটে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা। অধিকাংশ সময় এসব নৌযানের যাত্রীরা লাইফজ্যাকেট পরার ব্যাপারেও উদাসীন থাকেন।
২০২০ থেকে ২০২১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি নৌদুর্ঘটনা ঘটেছে দেশটিতে, তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটিতে নৌকাডুবির কারণে সবচেয়ে বড় প্রাণহানির ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১০ সালে। ওই বছর জুলাইয়ে ডিআরসির পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বান্দুদুতে নৌকাডুবিতে সলিল সমাধি হয়েছিল ১৩৫ জন যাত্রীর।