নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার মূলহোতা ও প্রধান আসামি মো. আশিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতারের পর র্যাব জানিয়েছে, মাত্র ৫০ হাজার টাকা চাঁদা না পেয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে ওই নারীকে।
আজ সোমবার ঢাকায় প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আশিক জানায়, আশিক ও তার সহযোগীরা ওই নারী পর্যটক ও তার স্বামীর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। ভুক্তভোগী নারী তা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর ফলে নারীর স্বামী-সন্তানের সামনে থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। পরে আশিক ধর্ষণ করে এবং তাকে হোটেলের রুমে আটকে রেখে তার স্বামীর কাছে মুক্তিপণ হিসেবে অর্থ দাবি করে।’
খন্দকার আল মঈন আরো বলেন, ‘আশিকের বক্তব্য অনুযায়ী ভুক্তভোগীর সঙ্গে তার দেখা হয় ঘটনার আগের দিন। তার চক্রের সদস্যরা ভুক্তভোগীর কাছে চাঁদা দাবি করেছিল। ভুক্তভোগী ও তার স্বামী চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।’
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আশিক এর আগে পুলিশের এক সদস্যকেও ব্ল্যাকমেইল করেছিল। তার এ ধরনের অপকর্ম থেকে কেউই রেহাই পায়নি। তার এমন অপকর্মের জন্য বিভিন্ন সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সে কারাভোগ করেছে। তার মামলা অনুযায়ী এর আগেও সে আরো ধর্ষণ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, গত ২২ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে ও আরও দুই-তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি স্থানীয় মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে জানাজানি হলে আশিক আত্মগোপণে চলে যান। পরবর্তীতে ঘটনার দুদিন পর তিনি বেশভুষা পরিবর্তন করে কক্সবাজার থেকে একটি এসি বাসযোগে ঢাকায় আসেন। এরপর ঢাকা থেকে পটুয়াখালী যাওয়ার পথে মাদারীপুরের মোস্তাফাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেফতার হয়।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (২২ ডিসেম্বর) স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে এক নারী পর্যটককে দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ পেয়ে রাত দেড়টার দিকে কক্সবাজারের কলাতলীর ‘জিয়া গেস্ট ইন’ নামে একটি হোটেল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে র্যাব।
আরো পড়ুন:
খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে আইনি মত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী