মাতৃভূমি

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে চালু হল ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসীদের চাহিদা পূরণের জন্য ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) সেবা চালু করলো ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোঃ মোকাব্বির হোসেন যৌথভাবে ১৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ওয়াশিংটন দূতাবাসে এই সেবার উদ্বোধন করেন।

এ সময় প্রদত্ত বক্তব্যে সচিব মোঃ মোকাব্বির হোসেন পূর্বে প্রচলিত হাতে লেখা এবং মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের কিছু সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে বলেন, নতুন প্রচলিত ই-পাসপোর্ট বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির হওয়ায় এতে জালিয়াতির কোন সুযোগ নেই। যার ফলে বহির্বিশ্বে এই পাসপোর্টধারীদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। সচিব উল্লেখ করে, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ এখনও ই-পাসপোর্ট এর প্রচলন করতে পারেনি এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করেছে। মোকাব্বির হোসেন আরো বলেন, বর্তমান সরকার ইতিমধ্যেই ঢাকা, সিলেট এবং চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ই-গেট স্থাপন করেছে যা যাত্রীদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়াকে আরো সহজতর করবে।

রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম তার বক্তব্যে ই-পাসপোর্ট সেবা সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের একক কৃতিত্ব হিসেবে উল্লেখ করেন এবং এটি তার “ডিজিটাল বাংলাদেশ ”বিনির্মাণের আরেকটি যুগান্তকারী মাইলফলক হিসেবে তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন যে, আমাদের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন সারাবিশ্বে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের ভোগান্তি হ্রাস করবে। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুসারে, হাতের লেখা থেকে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট – এই পরিষেবার অগ্রগতিতে স্বল্প সময় লেগেছে। বাংলাদেশি অভিবাসীদের সর্বোত্তম সেবা প্রদানের জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহের মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এম শহীদুল। এছাড়াও তিনি বিদেশে অবস্থিত সকল মিশনের মধ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস, ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রাথমিক পর্যায়ে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করার বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য সুরক্ষা সেবা এবং ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানান।

এই প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান উল্লেখ করেন, ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর ই-পাসপোর্ট সেবা উদ্বোধনের পর ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর ইতিমধ্যে দেশে ১০ লাখ ই-পাসপোর্ট বিতরণ করেছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ২০২১ সালের জুনের শেষে দেশের সব পাসপোর্ট অফিস ই-পাসপোর্ট সেবার আওতায় আনা হয় এবং বর্তমানে এই সেবাটি  বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে সম্প্রসারিত হল।

উদ্বোধনের পরই দুজন আবেদনকারীর আবেদনপত্র গ্রহণের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। উল্লেখ্য, ১০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক কনস্যুলেটে ই-পাসপোর্ট সেবা উদ্বোধন করা হয়। এছাড়াও বার্লিন এবং এথেন্সে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে ইতোপূর্বে এই সেবা চালু হওয়ার প্রেক্ষিতে চতুর্থতম হিসেবে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) সেবা চালু হল।

আরো পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ার নতুন সাবমেরিন চলবে না নিউজিল্যান্ডের জলসীমায়: আরডার্ন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *