ক্রীড়া প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: প্রথম ইনিংসে ৯ ওভার হাত ঘুরিয়েও কোনো উইকেট নিতে পারেননি নাথান লায়ন। এমন পরিস্থিতিতে হতাশ হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত বোলিং করে বনে গেছেন ইংল্যান্ডের যমদূত। ৯১ রান খরচায় সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন ৪ ব্যাটসম্যানকে। তাতেই টেস্টে ৪০০ উইকেটের এলিট ক্লাবে পৌঁছে গেছেন এই অজি অফস্পিনার।
অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ৪০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন লায়ন। তার আগে ক্যাঙ্গারুদের হয়ে দুই কিংবদন্তি বোলার শেন ওয়ার্ন ও গ্ল্যান ম্যাকগ্রা টেস্টে ৪০০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। এই দুজন যথাক্রমে ৭০৮ এবং ৫৬৩ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন।
চতুর্থ দিনের শুরুতেই ম্যাচ জয়ের জন্য দুরন্ত ছন্দে থাকা মালান-জো রুট জুটিকে ভাঙা দরকার ছিল অস্ট্রেলিয়ার। দীর্ঘ সময় ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষার পর নিজের ৪০০তম উইকেটটি নিয়ে সেই কাজটিই করেন লায়ন। ক্রিকেট বড়ই মজার খেলা। ৩২৬ দিন যেখানে এক উইকেটের জন্য অপেক্ষা করতে হয় তাকে, সেখানে তার পরের উইকেটটি নিতে ৩২৬ সেকেন্ডও লাগে না। মালানের পর ওলি পোপকেও (৪) দ্রুত সাজঘরে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ধ্বস শুরু করেন লায়ন।
তৃতীয় দিনের শেষে যেখানে দুই উইকেটের বিনিময়ে ২২০ রান করা ইংল্যান্ড চতুর্থ ইনিংসে অজিদের বেশ চ্যালেঞ্জিং রান তাড়া করার লক্ষ্য দেবে বলে মনে হচ্ছিল, সেখানে ৩০০ রানও করতে পারলেন না তারা। মাত্র ৭৭ রানে আট উইকেট হারিয়ে ২৯৭ রানেই শেষ হয়ে গেল রুটদের ইনিংস।
লায়ন অজিদের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বাধিক চার উইকেট নেন। জয়ের জন্য মোট ২০ রান দরকার অস্ট্রেলিয়ার। ২০ রানের লক্ষ্যে অ্যালেক্স ক্যারি এবং মার্কাস হ্যারিসকে উদ্বোধনী জুটিতে ব্যাট করতে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। ক্যারি ২৩ বলে ৯ রান করে ফিরেন রবিনসনের শিকার হয়ে। ক্যারি ফিরলে মার্নাস লাবুশেন আসেন ক্রিজে। ক্যারি ফেরার পরের বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে অজিদের ৯ উইকেটের জয় এনে দেন হ্যারিস। তিনি ১০ বলে করেন ৯ রান আর লাবুশেন কোনো বল না খেলেই অপরাজিত থাকেন।
আরো পড়ুন:
কোহলি ভারতের সর্বকালের সেরা টেস্ট অধিনায়ক : ইরফান পাঠান