ওয়াক্সিং বা অবাঞ্ছিত লোম তুলে ফেলার কাজটি অনেকেই পার্লারে গিয়ে করেন। সৌন্দর্য চর্চায় এই কাজটি অনেক নারীরাই করে থাকেন। আণ্ডার আর্মের অবাঞ্ছিত লোম কিংবা হাত এবং পায়ের লোম তোলার কাজটি বেশিরভাগ সময় পার্লারেই করা হয়। কিন্তু পার্লারে গিয়ে ওয়াক্সিং করানোর কিছু বিপদ রয়েছে। প্রথমত, কেমিক্যাল সমৃদ্ধ ওয়াক্স যার কারণে ত্বকের অনেক ক্ষতি হয়। এবং দ্বিতীয়ত, অনেকে পার্লারে খুব বেশি কমফোর্ট অনুভব করেন না।
তাহলে এতো ঝামেলায় না গিয়ে প্রাকৃতিক ভাবে বাসাতেই তৈরি করে নিন ওয়াক্স এবং ত্বকের সুরক্ষায় নিজেই করে নিন ওয়াক্সিং খুব সহজে।

ওয়াক্সিং করুন ঘরে বসে !
ওয়াক্সিং করুন ঘরে বসে !

ওয়াক্সিং করুন ঘরে বসে !

ঘরে ওয়াক্সিং করুার পদ্ধতি- 

যা যা লাগবেঃ

১ কাপ চিনি
১ কাপ মধু
১/২ কাপ লেবুর রস
১ কাপ পানি
১ টি সুতি বা লিলেন কাপড়
পদ্ধতিঃ

প্রথমে পানিতে চিনি নিয়ে চুলায় বসিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন। খুব বেশি নাড়ার প্রয়োজন নেই। দু একবার নেড়ে দিলেই হবে।
চিনি গলে পানিতে মিশে গিয়ে চিনি ক্যারামেলাইজ হওয়া পর্যন্ত চুলায় রেখে জ্বাল দিয়ে থাকুন।
চিনি ক্যারামেলাইজ হয়ে এলে এতে মধু ও লেবুর রস দিয়ে সাবধানে নাড়বেন। কারণ মধু অনেক বেশি ফেনায়িত হয় এবং অনেক বেশি গরম হয়ে যায়। সুতরাং সাবধানে থাকবেন যেন শরীরে গরম মধু না পড়ে।
মিশ্রণটাকে খুব বেশি আঠালো মনে হলে এতে ১ টেবিল চামচ পানি দিয়ে দিন। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
মিশ্রণটি ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা হতে দিন।
একটু বড় আকৃতির সুতি বা লিলেন কাপড় ২ ভাঁজ করে মুড়িগুলো সেলাই করে আটকে নিন ভালো করে।
যেখানের লোম তুলবেন সেখানে বেবি পাউডার ছড়িয়ে নিন। এতে ময়েসচারাইজার এবং তেল শুষে নেবে।
মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হলে ফ্রিজ থেকে বের করে নিয়ে একটি কাঠের চ্যাপ্টা চামচের সাহায্যে তা লোমের ওপর লাগিয়ে নিন। চামড়ায় নয় যতোটা সম্ভব লোমে লাগানোর চেষ্টা করবেন।
মিশ্রণটি লাগিয়ে এর ওপর কাপড়টি রেখে চাপ দিয়ে রেখে দিন। ২/৩ মিনিট রেখে কাপড়টি হেঁচকা টানে লোমের বিপরীতে টান দিয়ে খুব দ্রুত তুলে নিন।
এভাবে সব লোম তুলতে পারবেন।

সতর্কতাঃ
লোম একেবারে ছোট এবং খুব বড় হলে এই ওয়াক্সটি ঠিক মতো কাজ করতে নাও পারে। তবে এই ওয়াক্সিং ত্বকের জন্য ক্ষতিকর নয় মোটেই।