নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: চট্টগ্রামে কোরিয়া থেকে ওমিক্রন শনাক্তের কিট এনেছে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিটি কিট ১৬শ’ টাকা দরে মোট ১০০টি কিট আনা হয়েছে। ওই কিটের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি ওমিক্রনে আক্রান্ত কিনা সেটি তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই জানা সম্ভব হবে।
প্রাথমিকভাবে বিদেশফেরত কারো শরীরে করোনার উপসর্গ থাকলে তাদেরকে এ কিটের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য গৌতম বুদ্ধ দাশ।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ও নতুন ধরনটি শনাক্ত করা হয়েছে। তাই দ্রুত দেশে ওমিক্রন শনাক্তের জন্য চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রহ করেছে ওমিক্রন শনাক্তের কিট।
এ কিটের মাধ্যমে তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে কেউ এ ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা জানা যাবে। তবে, শতভাগ আক্রান্ত কিনা নিশ্চিত হতে করতে হবে জিনোম সিকোয়েন্স।
সিভাসুর মাইক্রোবায়োলজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ইফতেখার আহমেদ রানা বলেন, ভ্যারিয়েন্টটা সাধারণত কিছু স্পেসিফিক জিনের মিউটিশনের কারণে ডেভেলপ হয়েছে। এই কিটটা দ্বারা আমরা প্রথমে হিট করতে পারব যে মিউটেশন আছে যে জিনগুলোতে প্রাথমিকভাবে আমরা এগুলোকে ডিলিট করতে পারব। কোনো কারণে যদি ওই জিনগুলো অনুপস্থিত থাকে, না আসে, সাসপেন্স নতুন একটা ভেরিয়েন্ট, অতঃপর ওই ভাইরাসটাকে আমরা পরবর্তীতে আরানেস্টশন করে হোল জিনোম করলে আমরা নিশ্চিত হবো যে এখানে ওমিক্রন ভাইরাস সার্ক্যুলেট হচ্ছে।
তিনি বলেন, যারা বিদেশ থেকে আসছে, যেহেতু আমাদের বর্ডার ক্লোজ হয় নাই। তারা আমাদের প্রাথমিক টার্গেট। তাদেরকে যদি আমরা স্ক্রিনিং করতে পারি যে সন্দেহ হয়, যে এই ভ্যারিয়েন্ট তাদের মধ্যে থাকতে পারে তখন তাদের থেকে স্যাম্পল এনে এটা দ্বারা ডিরিশন করব। আর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে কিট সরবরাহ করা হয়েছে বর্তমানে ওই কিটগুলো দ্বারাই করোনা টেস্ট করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এক লাখ ৬০ হাজার টাকা খরচ করে ১০০টি কিট কোরিয়া থেকে আনা হয়েছে বলে জানান সিভাসুর উপাচার্য। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে বিদেশ থেকে আসা কারো মধ্যে করোনার উপসর্গ থাকলে তাদেরকে এই কিট দিয়ে পরীক্ষা করা হবে।
চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩৩১ জন মারা গেছে।
আরো পড়ুন:
এই মুহূর্তে প্রবাসীদের দেশে না আসাই উত্তম: স্বাস্থ্যমন্ত্রী