ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: বার বার পরিবর্তন হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনে সংক্রমণ বাড়ার খুব উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্রুত এটি ছড়িয়ে পড়ছে। আর এই বিস্তার কোনো কোনো স্থানে ‘ভয়াবহ পরিণতি’ ডেকে আনতে পারে। তাই বিশ্বকে প্রস্তুত থাকতে বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ডব্লিউএইচও বলেছে, এখন পর্যন্ত ওমিক্রনে সংক্রমিত হয়ে কেউ মারা যায়নি। তবে এই ধরনটির ক্ষেত্রে করোনা টিকা এবং ইতোমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে শরীরে যে ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে তা কার্যকর হবে কিনা তা জানতে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে। খবর রয়টার্সের।
গত সপ্তাহে নতুন এই ধরনটি দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয়। শনাক্তের পর থেকে জাতিংসঘের এই সংস্থাটির আশঙ্কা অনুযায়ী নতুন ধরনটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তাই সংস্থাটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে থাকা মানুষকে টিকা দেওয়ার গতি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
ডব্লিউএইচও বলেছে, ওমিক্রনে নজিরবিহীন স্পাইক মিউটেশন ঘটেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন এমন যে তা পুরো মহামারীর গতিপথ বদলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। সব মিলিয়ে বলা যায়, এটির বৈশ্বিক ঝুঁকি খুব বেশি।
এদিকে ডব্লিউএইচওর প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেছেন, ওমিক্রনের উত্থান আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে যে পরিস্থিতি কি পরিমাণ বিপজ্জনক ও অনিশ্চিত ছিল। ওমিক্রন দেখিয়ে দিলো কেন মহামারী মোকাবিলায় বিশ্বের একটি নতুন চুক্তির প্রয়োজন। আমাদের বর্তমান ব্যবস্থা দেশগুলোকে হুমকির ব্যাপারে অন্যদের সতর্ক করায় অনুৎসাহিত করে যা অবধারিতভাবে তাদের ওপর এসে পড়ে।
করোনা মোকাবিলায় করণীয় ঠিক করতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সোমবার শুরু হয়েছে ডব্লিউএইচওর বিশেষ অধিবেশন। এই অধিবেশনের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন। সংস্থাটির গত ৭৩ বছরের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় বিশেষ অধিবেশন। সদস্য দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রীরা অধিবেশনে অংশ নিচ্ছেন। আশা করা হচ্ছে এই অধিবেশনে নতুন একটি চুক্তির নিয়ে আলোচনা হবে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গসহ কয়েকটি অঞ্চলে গত সপ্তাহের মাঝামাঝিতে ১১০০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে ৯০ শতাংশই নতুন ধরন ওমিক্রন সংক্রমণ হিসেবে চিহ্নিত হয়। বতসোয়নায় নতুন ধরনের ১৯টি সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। যুক্তরাজ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রত্যাগত তিন জনের শরীরে পাওয়া গেছে এই ধরনটি।
জার্মানিতেও দুটি সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যারা সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েছিলেন। এছাড়া নেদারল্যান্ডসে ১৩, ডেনমার্কে ২, বেলজিয়ামে ১, ইতালিতে ১, চেক প্রজাতন্ত্রে ১, হংকংয়ে ২, অস্ট্রেলিয়ায় ২ ও কানাডায় ২ জনের শরীরে নতুন ওই ধরনটি শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন: