ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ায় ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কোয়ারিন্টিন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের মতো ব্যবস্থা নিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) নতুন এ ধরনটির নাম দিয়েছে ‘ওমিক্রন’।
করোনার এই নতুন ধরন মোকাবিলায় টিকার বুস্টার ডোজ তৈরির ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মডার্না। স্থানীয় সময় শুক্রবার প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা দেয়া হয়।
করোনার নতুন ধরনটি প্রথম শনাক্ত হয় গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকায়। দেশটি ছাড়াও বসতোয়ানা, ইসরায়েল, হংকং ও বেলজিয়ামে ধরনটিতে সংক্রমিত রোগীর সন্ধান মিলেছে বরে খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবারেই এক জরুরি বৈঠক শেষে নতুন ধরনটিকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে আখ্যায়িত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
মডার্না বলছে, করোনার ওমিক্রন ধরনকে মোকাবিলায় তিনটি উপায় নিয়ে কাজ করছে তারা। এরই একটি হলো টিকার বুস্টার ডোজ তৈরি। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির প্রচলিত টিকার ডোজ উচ্চ মাত্রায় দেওয়ার বিষয়টিও ভাবা হচ্ছে।
মডার্নার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্টেফান ব্যানসেল বলেন, ‘ওমিক্রন ধরনের জিনগত রূপান্তর বেশ উদ্বেগের। ধরনটি মোকাবিলায় কার্যকর উপায় বের করতে আমরা দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছি।’
করোনার নতুন ধরন শনাক্তের পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নতুন করে ভ্রমণের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে। কোয়ারেন্টিন জোরদারের পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকা ও আশপাশের দেশগুলো থেকে ফ্লাইট নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাজ্য, ইতালি, সিঙ্গাপুর ও জাপান। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকাসহ ওই অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল বন্ধের প্রস্তাব করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
এছাড়া বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জার্মানির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে ‘রূপান্তরিত ভাইরাসের এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ আশেপাশের দেশগুলো থেকে ফ্লাইট আসায় অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এশিয়ার দেশ জাপান ও সিঙ্গাপুর।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে দেশগুলোকে সতর্ক করেছে।
শুক্রবার সংস্থাটির মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশ যেন ঝুঁকি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয় এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগের ব্যাপারে সচেষ্ট হয়।
আরো পড়ুন:
স্বাস্থ্যবিধি শিথিল করার কোনো সুযোগ নেই : হু-র প্রধান বিজ্ঞানী